রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নীতিমালার দোহাই পাঞ্জাবি-টুপিতে

জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

পাঞ্জাবী-টুপি নিয়ে দুই প্রভাষকের বিরুদ্ধে বির্তকিত সিদ্ধান্তের ঘটনায় ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তি স্বাধীনতা পরিপন্থি অনৈতিক এ হটকারী সিদ্ধান্তে তুষের আগুন জ¦লছে ধর্মপ্রাণ মানুষসহ সচেতন মহলে।
এর মধ্যে সরকারি নির্দেশনা না মেনে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বলছেন, সরকারি কোনো টাকা-পয়সা না পাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায় করছেন তারা। সে কারণে অনেকের মধ্যে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত টাকা। সেই প্রতিষ্ঠান কোন শক্তিতে নিজস্ব কথিত নীতিমালার নামে পাঞ্জাবী টুপি পরাকে অবজ্ঞা করে আঘাত দিচ্ছে ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর। তবে তারা এও বলেছেন, এ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে সেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন আশা করা বোকামি। তারা শিক্ষা প্রদানের নামে প্রজন্মকে শেখাচ্ছে, সরকারী নির্দেশনা অমান্যের অশুভ চর্চা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০২০ সনের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন ও সেশন চার্জ নিতে পারবেন সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোনো অবস্থাতেই ২০২১ সনের কোনো মাসের বেতন ও সেশন চার্জ নিতে আদায় করতে পারবেন না কোন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ সরকারের নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চলমান বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত আদায় করছেন বেতন ও সেশন চার্জ। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
এছাড়াও করোনাকালীন অস্থিরতায় একসঙ্গে এত টাকা দিতে বেকায়দায় পড়ছেন অনেক অভিভাবক।
তবে, এ অর্থগ্রহণকে অনৈতিক বা অন্যায় মনে করছেন না জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আরিফুল ইসলাম রেজা বলেন, আমরা আসলে সরকার থেকে পাই না কোনো টাকা-পয়সা। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও নির্ধারিত মাসের চাইতে আরও ৩ মাসের বেতন ও সেশন চার্জ নিচ্ছি আমরা। সরকারের নীতিমালা অমান্য বা পরিপন্থি কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, টাকা-পয়সা পাই না সরকার থেকে সে কারণে করতে হচ্ছে এমনটা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন