শুধু হাসপাতাল কেন্দ্রিক ‘চিকিৎসা’ দিয়ে দেশে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সমাজভিত্তিক সার্বিক ক্যান্সার সেবা দেশের সব অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের ক্যান্সার সেবা নিশ্চিত করতে পারে বলে মনে করেন ক্যান্সার প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের নীতি- নির্ধারণে ক্যান্সার সেবার বিকেন্দ্রীকরণ ও সমাজভিত্তিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে এই কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে বলেও মনে করেন ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার।
সমাজভিত্তিক ক্যান্সার সেবার ধারণার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও প্রান্তিক মানুষের কাছে ক্যান্সার সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে গঠিত হয় কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন। ঢাকার লালমাটিয়ায় একটি স্ক্রিনিং ও কাউন্সেলিং সেন্টার চালু করার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল ও এলাকাভিত্তিক সচেতনতা ও স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম আয়োজন করে আসছে এই সংগঠন। ভারতের কেরালায় সমাজভিত্তিক ক্যান্সার সেবা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। এখানে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদারের অনুপ্রেরণায় এই উদ্যোগের শুরু।
তিন বছর পূর্তি কালে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট দু'টি বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। তারমধ্যে, ২০২১ সালের মধ্যে ১০টি ও পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে স্যাটেলাইট কমিউনিটি অনকোলজি ক্লিনিক চালু করা।
ইতোমধ্যে তিনটি জেলায় এটি চালু হয়েছে। নূন্যতম অবকাঠামো ও জনবলের সাহায্যে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় একটি বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শ মত ক্যান্সার নির্ণয় ও ফলোআপ দিবেন সাপ্তাহিক এই ক্লিনিকের চিকিৎসকরা। স্থানীয়ভাবে এই স্যাটেলাইট ক্লিনিকগুলোর পরিচালনায় সরকারি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
অপরটি, ঢাকা বা এর আশপাশে পূর্ণাঙ্গ ‘সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেটি, অসচ্ছল ও দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের স্বল্প ও বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সারা দেশের স্যাটেলাইট ক্লিনিকগুলোকে সহায়তা দিবে।
সরকার ও জনগণের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করেন সংশ্লিষ্টরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন