দেশে জাতীয়ভাবে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। ক্যান্সার শনাক্তে জাতীয় কোনো ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলে বৈশ্বিক কৌশল : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য পেশ করেন মার্চ ফর মাদার (জননীর জন্য পদযাত্রা) কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক ও ক্যান্সার রোগতত্ত্ববিদ ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। তিনি জানান, ২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উদ্যোগে ভায়া পরীক্ষাভিত্তিক জরায়ুমুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের কর্মসূচি চালু হয়। পরবর্তীতে সরকার এই উদ্যোগে অর্থায়ন করে। স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের জন্য ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন অর্থাৎ চিকিৎসক দিয়ে স্তন পরীক্ষা পরে এর সাথে যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৪০০ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভায়া সেন্টার চালু হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ১৫ বছরে এই কর্মসূচি লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশের কম সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে স্তন, জরায়ুমুখ ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার স্ক্রিনিং এমনকি উন্নয়নশীল দেশেও বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসকে সচেতনতা মাস হিসেবে পালনের পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে জানুয়ারির দ্বিতীয় শনিবার বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন করে আসছে মার্চ ফর মাদার (জননীর জন্য পদযাত্রা) নামের প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট গাইনি অনকোলজিস্ট ও কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর সাবেরা খাতুন। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনিযুক্ত পরিচালক প্রফেসর ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলোচনা শেষে জননীর জন্য পদযাত্রা ও তথ্যসমৃদ্ধ লিফলেট বিতরণ করা হয় প্রেস ক্লাব থেকে বিজয়নগর, কাকরাইল, মালিবাগ হয়ে মগবাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন