শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভারতীয় গরুবিহীন দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠছে

প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বরিশাল ব্যুরো : ভারতীয় গরুবিহীন ঈদুল আজহার পশুর হাট দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জমে উঠতে শুরু করেছে। জেলা সদর থেকে উপজেলা হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়েও এখন মাইকযোগে প্রতিনিয়ত পশুর হাটের প্রচারণা। অনেক পুরনো হাটগুলোর সামনে বড় গেটসহ আলোকসজ্জাও করা হয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাটগুলোতে গরু-ছাগলের আমদানি শুরু হলেও তেমন বেচাকেনা হয়নি। এতদিন বেশিরভাগ ক্রেতাই শুধু দর যাচাই করেছেন। গতকাল থেকে ক্রেতাদের আগমনের সাথে বেচাকেনায়ও কিছুটা গতি আসতে শুরু করেছে। আজ থেকে জমজমাট হবে কোরবানির পশুর হাট। চলবে সোমবার রাত পর্যন্ত।
তবে গত বছরের মতো এবারো দক্ষিণাঞ্চলের পশুর হাটে ভারতীয় গরুর কোনো দেখা নেই। ভিনদেশী গরুবিহীন দ্বিতীয় কোরবানিতে গরুর দাম কিছুটা বাড়লেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ তা মেনে নিতেও শুরু করেছেন। ‘ভারতীয় গরু ছাড়া বাংলাদেশে কোরবানি হয় না’ বলে দেশী-বিদেশী কিছু মানুষ এতদিন নানা ধরনের মন্তব্য করতেন। তাদের মুখে ছাই দিয়ে দেশী গরু দিয়েই গত বছরের মতো এবারো কোরবানি হচ্ছে সারাদেশের মতো দক্ষিণাঞ্চলেও। এতে দাম কিছুটা বাড়লেও দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের তেমন কোনো অভিযোগ নেই। নিচে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা দামের গরুও আসতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে।
উপরন্তু ভারতীয় গরু সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর দেশের অনেক এলাকার মতো দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামে-গঞ্জেও গবাদি পশু লালন-পালনে আগ্রহ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেপারীরা। বরিশাল মহানগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অপর পাড়ে চরকাউয়ার দিনারের পুল এলাকায় এবারো খালেদ সাইফুল্লাহর নিজস্ব খামারে লালন করা একটি ষাঁড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। খালেদ গত কয়েক বছর ধরেই গ্রামগঞ্জ থেকে ষাঁড় বছুর-বকনা সংগ্রহ করে নিজস্ব খামারে তা লালন- পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এজন্য প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে চিকিৎসা সহায়তাও গ্রহণ করেন খালেদ। তার খামারে উৎপাদিত প্রতিটি গবাদি পশু অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান ও রোগমুক্ত বলে জানিয়েছেন পশু চিকিৎসকরাও।
গতকাল থেকে বরিশাল মহানগরীর অন্তত ১০টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসতে শুরু করেছে। এছাড়াও নগরীর আশপাশে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও ১০-২০টি করে গরু গ্রাম-গঞ্জ থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য মজুদ করেছে। এসব গরু হাটে না নিয়ে ঘরের আঙিনাতেই বেচাকেনা হচ্ছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার কারোরই কোনো কর দিতে হচ্ছে না। ফলে নগরীর অনেক ক্রেতা এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গরু কিনে কিছু খরচ বাঁচাতেও চেষ্টা করছেন।
তবে গরুর বেপারীদের মতে, কোরবানির মূল হাট জমে উঠবে আজ (শুক্রবার) থেকে। আজ থেকেই দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে কোরবানির পশুর হাটে গরু-ছাগলের আমদানিও বাড়বে। জমজমাট হবে হাট-বাজারগুলো। এসব হাট-বাজারের নিরাপত্তা দিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন দায়িত্বশীল মহল। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা আজ থেকেই পরিবারের সাথে কোরবানির ঈদ করতে বাড়ি ফিরবেন। আর সেই সাথে কোরবানির পশুর হাটও জমে উঠবে বলে আশা নিয়ে আছেন গরু-ছাগলের বেপারীরাও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন