মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোদাগাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে পাঠদানের অভিযোগে অধ্যক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা।

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ২:২৫ পিএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সরকারী নির্দেশ ও লকডাউনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে, বীরদাপটে কেজি স্কুল ও কম্পিউটার প্রশিক্ষন খুলে শিক্ষার্থীদের পাঠ ও কোচিং কারার সময় হাতেনাতে ধরা খান নুরানি কিন্ডারগার্ডেন ও এসকে কম্পাউটারের মালিক মোঃ আব্দুল খালেক। এর জন্য তাকে জরিমান করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা, বিষযটি গোদাগাড়ী টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

রবিবার সকালে সরকারী নির্দেশ ও লকডান উপেক্ষা করে নুরানি কিন্ডারগার্ডেন ও এসকে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের মালিক ও পরিচালক আব্দুল খালেকে স্কুল খুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও কোচিং করার অভিযোগে হাতে নাতে গ্রেফতার করেন গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরবর্তীতে ভুলস্বীকার পূর্বক ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এলাকাবসি ব্যপক অভিযোগের ভাষায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত নেতা আব্দুল খালেক কোন প্রকার নিযমনীতি তোয়াক্কা না করে, সামাজিক দূরুত্ব বজায় না রেখে স্কুল খুলে কমলমতি শিশুদের বাধ্য করে পাঠদান ও কোচিং করাচ্ছিলেন। সকল প্রায়মারি স্কুল, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও উপজেলা সদরে তিনি এ অবৈধ কাজটি তিনি বীরদাপটে চালিয়ে আসছিলেন। আব্দুল খালেকে স্কুল খুলে পাঠদান ও কম্পিউটার প্রশিক্ষন প্রদানের বিষযটি ভাল চোখে নেন নি এলাকাবাসি।
এলাকাবাসি আরও জানান, তিনি কথিত জিখবর নামে একটি পোটাল খুলে নিজে সম্পাদক সেঁজে সারা দেশের জেলা, উপজেলা প্রতিনিধি, সাংবাদিক নিয়োগ দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংবাদিক কার্ড হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। অনেকে প্রতারনার স্বীকার হচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসের সামনে একজন কাঁচা মাল ব্যবসায়ী তার জিখবরের সাংবাদিক কার্ড ঝুলিয়ে ব্যবসা করতে দেখেছেন বলে অনেকে জানান। এসকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালে হেফাজত স্টালে প্রেমনীল চলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পরিচালক অধ্যক্ষ নিজে হেফাজত নেতা মোমিনুল স্টাইলে আব্দুল খালেকের একাধিক বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে।

এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেস্ট্র মোঃ জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ সকাল ৯ টার কিছু আগে গিয়ে দেখি নুরানি কিন্ডারগার্ডেনে ৪০ জন শিক্ষার্থী, ২০/২৫ অভিভাবক, ৪ জন মহিলা শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সারকারি নির্দেশ, লকডাউন উপেক্ষা করে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় অব্দুল খালেককে ২০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। যেখানে সরকারি নির্দেশে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সেখানে তিনি এধররের কাজ করেন কি করে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ হায়দার আলী ১১ এপ্রিল, ২০২১, ৩:৪৬ পিএম says : 0
সব মানবিকতা যেন হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন