শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আমতলীতে তরমুজ পরিবহনের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ৯:১৯ পিএম

আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রাম থেকে তরমুজ পরিবহনের ট্রাক থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমতলী-চাউলা স্লুইস গেট পানি ব্যবস্থাপনা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম হাওলাদার নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা এসে তরমুজ ক্রয় করে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যান। তরমুজ পরিবহনে জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ট্রাক গাজীপুর, সোনাখালী, উত্তর সোনাখালী, মধ্য সোনাখালী ও কাঠালতলায় অবস্থান করেন। এই সুযোগে স্থানীয় চাঁদাবাজ শামিম হাওলাদার তার এক বাহিনী নিয়ে প্রতি ট্রাক থেকে ৩শ’ টাকা করে চাঁদা করছেন বলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। চাঁদা আদায়ের জন্য শামিম হাওলাদার কৌশলে আমতলী-চাউলা স্লুইস গেট পানি ব্যবস্থাপনা দলের একটি ছাপানো রশিদ ব্যবহার করছেন। কোন ট্রাক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে তরমুজ পরিবহন করতে দেন না বলেও অভিযোগ করেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তার দাবীকৃত চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখছেন বলেও জানান তারা।

স্থানীয় ইব্রাহিম ও জালাল চৌকিদার নামে দুজন বলেন, তরমুজ বিক্রির শুরু থেকেই শামিম ট্রাক প্রতি চালকদের কাছ থেকে ৩’শ টাকা আদায় করছেন। তারা আরো বলেন, ট্রাক চালক চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের আটকে চাঁদা আদায়ে বাধ্য করছেন তিনি।

নাটোরের ট্রাক চালক রবিউল, সিরাজগঞ্জের মফিজ, ময়মনসিংহের মোশাররফ ও গাজীপুরের ওসমান বলেন, শামিমকে চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখে। বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতে হয়। তারা আরো বলেন, যতবার ট্রাকে তরমুজ লোড দেই, ততবাই শামিমকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এই চাঁদাবাজ শামীমের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।

তরমুজ ব্যবসায়ী অহিদুল ও মোশাররফ হোসেন বলেন, ট্রাকে তরমুজ লোড দেয়ার সাথে সাথেই শামিম এসে চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে গাড়ীতে তরমুজ লোড দিতে দেয় না। বাধ্য হয়ে আমাদের চাঁদা দিতে হয়।

অভিযুক্ত শামিম হাওলাদার ট্রাক প্রতি ৩শ’ টাকা চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করে বলেন, ট্রাক চলাচলের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য সামন্য টাকা আদায় করা হয়। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার আলম বলেন, শামিম আমাদের অফিসের কেহ না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। চাঁদা আদায় করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক মেরামত করতে হবে এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম ব্যবহার করে যে চাঁদা আদায় করছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এরক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে শামিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, তরমুজ পরিবহনে চাঁদা বন্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তানা হলে তরমুজ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন