বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ছয়দিনে বিষপানকারী সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। অধিকাংশরাই পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা করতে বিষপান করেছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. বখতিয়ার আল মামুন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বাবার সাথে অভিমান করে গত শনিবার বিষপান করে উপজেলার গৈলা গ্রামের নুর ইসলাম বালীর পুত্র আজিম বালী। একইদিন সকালে নোয়াপাড়া গ্রামের নিত্যানন্দ রায়ের পুত্র নয়ন রায় বিষপান করে। গত শুক্রবার বিকেলে কোদালধোয়া গ্রামের নিতাই দাসের কন্যা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অনামিকা দাস, বৃহস্পতিবার বিকেলে কারফা গ্রামের শিশির বিশ্বাসের স্ত্রী রসনা বিশ্বাস, বুধবার দুপুরে উত্তর শিহিপাশা গ্রামের এস্কেন্দার সরদারের পুত্র ইব্রাহিম সরদার, মঙ্গলবার সকালে নোয়াপাড়া গ্রামের বীরেন মন্ডলের পুত্র কনন মন্ডল, রোববার রাতে পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের মিরাজ মোল্লার স্ত্রী মনি বেগম আত্মহত্যার জন্য কীটনাশক পান করলে তাদেরকে উপজেলা স্বাাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার সাংবাদিকদের জানান, বোরো মৌসুমে ঘরে থাকা অরক্ষিত কীটনাশক হাতের কাছে পাওয়ায় আবেগ প্রবণ হলেই সহজে ছেলে-মেয়েরা আত্মহত্যার জন্য তা পান করছে। এজন্য পরিবারের সদস্যদের সচেতনতার সাথে কীটনাশক ব্যবহার ও সংরক্ষণের কথা জানিয়ে ওসি বলেন, দোকানে কীটনাশক বিক্রির নীতিমালা থাকার পাশাপাশি পরিবার প্রধান ছাড়া ব্যবসায়ীরা কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করলে আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে অনেক ছেলে-মেয়ে রেহাই পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন