সউদী আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে হযরত সুরেশ্বরী (র.) এর ভক্ত অনুসারী মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আজ রোজা রাখছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন।
সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের পীর ও আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ খাজা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আক্তার হোসাইন বলেন, গতকাল সউদী আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ রোজা রাখছেন। তাই সউদী আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজ রোজা রাখছেন। করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে তারাবির নামাজ ঘরে বসেই পড়ার জন্য তিনি রোজাদারদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সুরেশ্বর দরবারের মুরিদরা একদিন পূর্বে রোজা রাখেন এবং একদিন পূর্বে ঈদ উদযাপন করেন। সে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তালুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী ও শিবচর উপজেলার বাহেরচর, কেরানীরবাট, কালকিনির রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাশেরহাটসহ জেলার ৪০ গ্রামের গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আজ থেকে রোজা রাখবেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার মোল্লা বলেন, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুরেশ্বরী (র.) এর অনুসারীরা ১৪৮ বছর পূর্ব থেকে সউদী আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। সে হিসেবে আজ প্রথম রোজা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন