কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যার সন্দেহভাজন মূল হোতা মোতাহার হোসেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চিতাখোলা এলাকায় রোববার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল্লাহর মায়ের বড় মামা ছিলেন মোতাহার হোসেন। অর্থাৎ, সম্পর্কে তিনি শিশুটির নানা। র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মহিউদ্দিন জানান, রোববার গভীর রাতে চিতাখোলা এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল র্যাবের একটি দল। এ সময় মোটরসাইকেলে করে দুজন যাওয়ার সময় র্যাব তাঁদের থামার সংকেত দেয়। মোটরসাইকেল আরোহীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে একজন আহত হন। অপরজন মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। আহত ব্যক্তিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। পরে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তিনি কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন।
গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) নিখোঁজ ছিল। তাকে খুঁজতে থানা-পুলিশ হয়েছে। চলেছে বিস্তর খোঁজখবর করা। একপর্যায়ে মুঠোফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা। এরপরও শিশুটিকে ফেরত দেয়নি তারা। ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আবদুল্লাহদের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত লাশ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে মোতাহার পলাতক ছিল।
লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় সাংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মুগারচর গ্রামে আবদুল্লাহর বাড়িতে যান। তিনি এ হত্যা মামলা তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজও যান শিশুটির বাড়িতে। তিনি এ হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এ হত্যাকাণ্ডের খুনি মোতাহার বাংলাদেশের যে প্রান্তে থাকুক না কেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন