দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় দফার লকডাউনের প্রথম ৪৮ ঘন্টা স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় স্থবির ছিল। তবে প্রথম দিনের তুলনায় বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলা-উপজেলা সদরগুলোতে দ্বিতীয়দিনে লোকজনের চলাচল কিছুটা বাড়লেও কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকেও সার্বক্ষনিকভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। গত দু’দিনই সন্ধ্যার পরে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সবগুলো শহরই ছিল জনমানব শূন্য। শুধুমাত্র হাতে গোনা কিছু নামাজি তারাবি শেষে ঘরে ফিরেছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ২য় দফার লকডাউনের প্রথম দিনেও যথেষ্ঠ কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনেও বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকায় ছিল সুনসান নিরবতা। এমনকি প্রথম দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বিকল্প যানবাহনে কিছু মানুষ বরিশাল হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকায় কাটা পথে পৌছলেও বৃহস্পতিবার তা আর চোখে পরেনি। সকাল থেকে কাঁচা বাজারগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবাই ঘরে ফিরেছেন। তবে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন এলাকায় মোটরবাইকের চলাচল ছিল অনেকটাই নিয়ন্ত্রনের বাইরে। কোন কোন এলাকা পুলিশ বাঁধা দিলেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন