নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বাক প্রতিবন্ধীর স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়ার পর ধর্ষণ চেষ্টা করলে ওই ছিনতাইকারীকে চিনে ফেলায় গলাটিপে হত্যা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ দায়েরের পর মামলা নিতে অসহযোগীতা করছে তদন্তকারী কর্মকর্তা এমন অভিযোগও রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাটাবোতে এ ঘটনা ঘটে।
বীর হাটাবোর বাসিন্দা কামিজদ্দিন জানান, তার মেয়ে আফরোজা আক্তার (৩০) গত ১১ এপ্রিল সকালে হাটাবো থেকে কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আমদিয়া কাজিরটেক এলাকার পৌঁছলে ওই অজ্ঞাত অটোচালকের সহযোগীতায় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বীর হাটাবো নাগদা পাড়ার ইসলামউদ্দিনের ছেলে মোগলসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জন হামলা চালায়। এ সময় ছিনতাইকারীরা আফরোজাকে মুখ বেঁধে রাস্তার পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তার গলায় থাকা ১ ভরি ২ রতি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আফরোজা জোড়ে শব্দ করলে ঔই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হালিম ঘটনাস্থলে দৌড়ে গেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আফরোজাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর ভাই মোশারফ মিয়া জানান, আমার বোন আফরোজার স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়ার পর ধর্ষণ চেষ্টা করা হলেও ভোলাবো তদন্ত কেন্দ্রের দারোগা সানোয়ার হোসেন এ ঘটনার অভিযোগপত্রে ধর্ষণ চেষ্টার কথা লেখতে দেয়নি। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পূর্ব শত্রুতা লেখা হয়েছে। দারোগা আমার মুঠোফোনে বলেছেন, আফরোজা বাক প্রতিবন্ধী। তাই আদালতে সাক্ষী দিতে পারবে না, মামলা করে লাভ হবে না। অযথা হয়রানি হবেন।
অভিযুক্ত এসআই সানোয়ার হোসেন জানান, বাদী পক্ষকে বলেছিলাম, অভিযুক্তদের অবস্থান জানাতে বা ধরিয়ে দিতে। বাদী পক্ষ গরীব, অসহায়। তারা থানা ও আদালতে দৌড়াতে পারবে না ভেবে এ কথা বলেছি। তবে অসহযোগীতা করব না। এদিকে অভিযুক্ত মোগল মিয়া পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, কোনো পুলিশ সদস্যের এমন বক্তব্য হতে পারে না। ঘটনা তদন্ত করে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন