লাগাতার অনাবৃষ্টির সাথে স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন। মাঠে থাকা রবি ফসলের সমস্যা না হলেও উৎপাদন নিয়ে ইতোমধ্যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। এর সাথে উজানে প্রবাহ হ্রাসের কারণে নদ-নদীতে সাগরের নোনা পানি উঠে আসায় ফসল আবাদ ও উৎপাদনে নানামুখী সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল।
আবহাওয়া বিভাগের হিসেবে জানুয়ারি মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮.৯ মিলিমিটার হলেও কোন বৃষ্টি হয়নি। ফেব্রুয়ারিতে ২৭ মিলিমিটারের স্থলে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মার্চে ৫৭.১ মিলিমিটারের স্থলে মাত্র ০.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা ছিল স্বাভাবিকের ৯৯.৫% কম। চলতি মাসে ১৩২.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হবার কথা থাকলেও গতকাল দুপুর পর্যন্ত কোন বৃষ্টি হয়নি।
লাগাতার স্বাভাবিক বৃষ্টির অভাবের সাথে উজানের প্রবাহ হ্রাসের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে মিঠা পানির প্রবাহে চরম সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। স্বাদু পানির সঙ্কটে দেশের মৎস্য সম্পদের অন্যতম আঁধার দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে মাছের অবাধ বিচরণও কিছুটা বাধাগ্রস্থ হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বরিশালের কির্তনখোলাসহ বিভিন্ন মিঠা পানির নদ-নদীতে লবণাক্ততার মাত্রা ১ হাজার পিপিএম অতিক্রম করেছে। ফলে এ অঞ্চলের প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়া তরমুজ, প্রায় ৫০ হাজার হেক্টরে শীতকালীন সবজি ও দেড় লক্ষাধিক হেক্টরের বোরো ধানের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন