শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সড়ক ফাঁকা হলেও অলিগলিতে প্রচন্ড ভীড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

ছুটির দিন শুক্রবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের ছিল তৃতীয় দিন। কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথারীতি কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে। কিন্তু বিভিন্ন মহল্লা এবং বাজারগুলোতে অনেকটাই শিথিল বিধিনিষেধ। মহল্লার অলিগলিতে প্রচুর ভীড় এবং উঠতি বয়সি তরুণ-যুবকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং আশেপাশের বিভিন্ন মহল্লা ও বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান এবং প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে। তাও সংখ্যায় খুব বেশি নয়। মাঝে মাঝে দু-একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাও দেখা যাচ্ছিল। যাত্রাবাড়িতে পুলিশী টহল দেখা গেলেও মহল্লার অলিগলিতে দেখা যায় প্রচুর মানুষের চলাফেলা।
মহাসড়কে চোখে পড়ছে ব্যাটারিচালিত ও পায়ে চলা রিকশা। পায়ে চলা রিকশার প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছুটা শিথিল হলেও ব্যাটারিচালিত রিকশা পেলেই আটকে দেয়া হচ্ছিল। এই মহাসড়কে পাশেই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ, উত্তর রায়েরবাগ, শনির আখড়া, জনতাবাগ, গোবিন্দপুর, কাজলা, দনিয়া, ধোলাইপাড় এলাকা। এসব এলাকার ভেতরে চলাচল কিংবা স্বাস্থ্যবিধি পালনের ক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি চোখে পড়েনি।
মহল্লার ভেতরের বেশিরভাগ দোকানপাটই খোলা দেখা গেছে। এলাকার রাস্তার পাশে অস্থায়ী এবং স্থায়ী কাঁচাবাজারগুলোতে ছিল লোকজনের প্রচুর ভিড়। উত্তর রায়েরবাগে দোতলা মসজিদ এলাকায় বাজার করতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতারা জানান, রমজানের প্রথম শুক্রবার হওয়ায় কেনাবেচা বেশির হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরু হয়। ঢিলেঢালা লকডাউন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। অতপর গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) শুরু হয়। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
লকডাউন ঘোষণা করে গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ সময়ের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
লকডাউনের আটদিন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। তবে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান-সংস্থা খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। সীমিত পরিসরে দেয়া হচ্ছে ব্যাংকিং সেবা।
এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। খোলা স্থানে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা-বেচা করা যাবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে কোথাও খোলা যায়গায় বাজার বসেনি। পুরনো বাজারেই কেনাবেচা চলছে। মূল রাস্তায় মানুষের চলাচল কম হলেও মহল্লার অলিগলিতে প্রচন্ড ভীড় দেখা গেছে। বিশেষ করে পাড়া মহল্লার ফাস্টফুট জাতীয় খাবারের দোকানগুলোতে সন্ধ্যায় তরুণ-যুবকদের প্রচুর ভীড় করতে দেখা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন