জাবি সংবাদদাতা ঃ বড় কোনো ছুটির ঘোষণা হলেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আঙ্গিনায় সক্রিয় হয়ে উঠে অপরাধীচক্র। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে নেমে আসে আতঙ্ক। বেড়ে যায় চুরি, ছিনতাই, অপহরণ ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে ক্যাম্পাসে যেন এ ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে, সেদিকে প্রশাসনকে জোর দৃষ্টি দিতে হবে।
সা¤প্রতিক সময়ের হিসাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরি, ছিনতাই, অপহরণ আর ধর্ষণের মতো ঘটনার শিকার হচ্ছেন বেশির ভাগই বাইরে থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীও বাদ পড়েন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ গত ১০ জুন রাতে সাভারে বসবাসকারী এক গর্ভবতী নারী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগানে তার আত্মীয়ের বাসা থেকে ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় একা পেয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী তার কাছ থাকা মোবাইল, ব্যাগ ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরে সাংবাদিকরা বিষয়টি জানার পর তাকে উদ্ধার করে তার স্বামীর কাছে পৌঁছে দেন। একই দিনে এক তরুণীকে অপহরণকারীর হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে শাখা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায় টিটোর নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিডিনিউজের প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামকে মারধর করে। এরও বেশ কয়েকদিন আগে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী কোয়ার্টারের সামনে থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত¡ বিভাগের এক কর্মচারীর মেয়েকে অপহরণ করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
পরে লোকজন আসলে পালিয়ে যায় তারা। এাছাড়াও ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর দুপুরে ঈদুল আজহার ছুটিতে বহিরাগত এক তরুণী বোটানিক্যাল গার্ডেনে গণধর্ষণের শিকার হন। একই বছরের এপ্রিল মাসে ধর্ষণের শিকার হন ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থী। ২০১৩ সালের ঈদুল আজহার ছুটির সময় ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা এক বহিরাগত তরুণীকে শহীদ মিনার এলাকা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। পরে ওই তরুণীর সঙ্গে আসা যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানালে তারা দুই ঘণ্টা পুরো ক্যাম্পাসে খোঁজাখুঁজি করেও তরুণীটির হদিস পাননি। নিরাপত্তার এ অবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন