বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সবজির দাম কমে যাওয়ায় ঈদ করতে পারবেন না গফরগাঁওয়ের কৃষকরা

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ (গফরগাঁও) থেকে : গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকার ফলে ফলন ভাল হয়েছে বলে কৃষকরা জানান। দাম কমে যাওয়ার ফলে বহু কৃষকের ঘরে কোরবানি ঈদের আনন্দ থাকবে না। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাকসবজী উৎপাদন হয়ে থাকে চরআলগী ইউনিয়ন, পাঁচবাগ ইউনিয়ন, টাঙ্গাবর ইউনিয়ন ও রসুলপুর ইউনিয়ন। উল্লেখিত ইউনিয়নের বেশিরভাগ কৃষকরাই শাকসবজী ফলন করে তাদের সংসার চালায়। অনেকেই আবার রাতারাতি এ চাষ করে তাদের জীবন বদলীয়ে দিয়েছে আলা উদ্দিনের চেরাগের মত। কিন্তু এবারের ঈদের আসার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম কম থাকার ফলে তাদের সংসাদের অন্ধকার নেমে আসছে বলে বেশ কয়েক জন কৃষক তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।
এ ধরনের ফসল চাষ করতে গিয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। সালটিয়া বাজার, পালের বাজার, টাঙ্গাবর বাজার,বামনখালী বাজার ও রসুলপুর আমলী বাজারসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাটবাজারে গত কয়েকদিন যাবৎ প্রচুর পরিমানে বেগুন, মুলাসহ হরেক রকমের তরকারী উঠলে ও কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। ফলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া নতুন বাজারে কৃষকদের আলাপ করে জানা গেছে শাক-সবজী বাজার আনান পর ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যার খুবই কম। অথচ গত ১৫-২০ দিন আগে বাজারে বেগুন মুলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজী আনার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে গেছে। গত সোমবার সালটিয়া নতুন বাজারে বেগুনসহ অন্যান্য তরিতরকারী পানির দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও অন্যান্য শাকসবজীর দাম ও কমে গেছে। চরআলগী টেকির চর গ্রামের মোঃ সুলতান মিয়া (২৫) জানান, বড় আশা করে বাজারে বেগুন ও মুলা নিয়ে আসছিলাম তা বিক্রি করে বউ-ছেলেমেয়েকে নিয়ে বড় আনন্দ করে কোরবানির ঈদ করব। কিন্ত সে আশা আজ খান খান হয়ে গেছে। আমরা এ চাষ করে বছরের বাকী টুকু সময় সংসার নির্বাহ করে থাকি। এ ফসল করতে প্রচুর টাকা ব্যায় করতে হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে গফরগাঁও উপজেলার বেগুনের মধ্যে আলাদা একটি খ্যাতি রয়েছে। রসুলপুরের ভরভরা গ্রাম থেকে আসা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, লেবু নিয়ে আসছিলাম তা বিক্রি করে আজ ঈদের মার্কেটিং করব, কিন্ত দাম কম থাকায় তা আশা পুরণ হলো না। অন্যান্য বছর ঈদের সময় লেবু বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা বিক্রি করে থাকি। তা দিয়ে ঈদের বাজার করি ও কোরবানি ও দিয়ে থাকি। উপজেলার দক্ষিণে ঐতিহ্যবাহী সবজি বাজার বলে খ্যাতি রয়েছে টাঙ্গাবর ইউনিয়নে এমন কোন বাড়ি নেই যে বাড়িতে সবজি চাষ করে নাই সেখানে ও কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে বহু ট্রাকে রাজধানী ঢাকায় শাকসবজী পাইকারীভাবে নিয়ে যাওয়া হতো।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন