শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জমি ভাড়া নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ

পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক চার লেনে উন্নীত করার সময় জমি অধিগ্রহণের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ও সরকারি অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ ও দোকান নির্মাণ করে ভূমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জেলা প্রশাসনের নিজস্ব তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নরসিংদীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (বর্তমান কর্মস্থল ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) আলমগীর হোসেনকে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকরে কার্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার একেএম মাসুদুজ্জানা স্বাক্ষরিত আদেশে আলমগীর হোসেনকে বদলী করা হয়।

ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ তুলতে গেলে আলমগীর হোসেনকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হাতের ঘুষ দিতে হয়। ৯ বছরের বেশি সময় ধরে একই শাখায় কর্মরত থেকে তিনি ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যেসব জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয় সেগুলোতে ভাড়া নিয়ে আলমগীর নিজেই মার্কেট বা তিন-চার তলা ভবন তৈরি করেন। অনেক ক্ষেত্রে জমিরি মালিকের কাছ থেকে বায়নাপত্র করে এসব ভবন মা মার্কেট তৈরি করেন। যাতে বেশি পরিমান ক্ষতিপুরণ আদায় করা যায়।

পাঁচদোনা-ডাঙ্গা সড়কের সৈকদী গ্রামে বিপুল সংখক জমির মালিকের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে ভবন তৈরি করেন আলমগীর হোসেন। সেখানে প্রায় দেড় ডজন বড় বড় ভবন করে সাড়ে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগে বলা হয়। এছাড়া নিজস্ব দালাল বাহিনীর মাধ্যমে তিনি ভবন তৈরি করিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাৎ করেন। যার মাধ্যম রাজধানী ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন হাউজিংয়ে কয়েকটি প্লটের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, সামছুন্নাহার নামে এক নারীর জমি ভাড়া নিয়ে বহুতল ভবন করেন আলগীর হোসেন যার নাম দেন নাহার টেক্সটাইল। অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের আশায় অফিস সহকারী আলমগীরই যে শুধু নতুন ভবন তৈরি করেন তা নয়। নরসিংদী, গাজীপুর, পলাশ থেকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীকে ভবন তৈরি করতে জমি ভাড়ায় সহযোগিতা করেন করেন তিনি। স্থানীয় কামাল ও আমির উদ্দিন দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ১৮ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে ভবন করেন তিনি। এভাবে বহু মানুষের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের নামে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেন আলমগীর ও তার সহযোগীরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন বলেন, আমার খালাসহ কিছু আত্মীয় স্বজনের জমিতে ভবন তৈরি করে। এসব বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাছাড়া সরকারি কর্মচারী হিসেবে সরকারি নিয়মে আমাকে বদলী করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন