আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে : সিলেটের ওসমানীনগরে তিন দিনের ব্যবধানে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। এদের মধ্যে কেউ ফাঁস দিয়ে আবার কেউ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। এদের মধ্যে নিহত ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের পিতা গতকাল শুক্রবার বাদী অজ্ঞাতনামা আসামী কওে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৮ (তারিখ : ০৯.০৯.১৬)। অন্যদের বিষয়ে মামলা হয়নি। তিন দিনের ব্যবধানে ৫টি অস্বাভাবিক ঘটনায় এলাকার মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের ওসমানীনগরে চার সন্তানের রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার নূরপুর গ্রামের আবদুল হান্নানের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪২)। থানা পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে নিহতের বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার (৪সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহিলার লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিষপান করে ওই নারী আত্মহত্যা করেন।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) একই উপজেলার পূর্ব তিলাপাড়া গ্রামের সাবানত আলীর পুত্র মধু মিয়ার লাশ উদ্ধার কওে পুলিশ। নিজ বাড়ীর পাশে একটি আম গাছের ডালে মধু মিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তিনটি লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। লাশ তিনিটি হচ্ছে, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোবারকপুর (আন্দাইড় কোনা) জামে মসজিদের ইমাম সিলেটের মোগলাবাজার থানার সোনাপুর গ্রামের আব্দুল বারির পুত্র মাওলানা আব্দুর রহমান (৪৫)। তার বাবা আব্দুল বারি গতকাল শুক্রবার অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপর ঘটনাটি একই উপজেলার একই ইউনিয়নের দক্ষিণ কালনিরচর গ্রাম থেকে ৮ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র নাজমূল আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।তার বাবার নাম ইয়াফর আলী। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়ারচর গ্রামে বিষপানে ফখরুল ইসলাম (২২) এক যুবক আত্মহত্যা করে। সে উপজেলার প্রথম পাশা গ্রামের উজির মিয়ার পুত্র। নিহত যুবক দীর্ঘদিন ধরে গদিয়ারচর গ্রামের শান্তি ভিলায় ভাড়াটি হিসেবে বসবাস করে আসছিল। তবে নিহত যুবক প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নিহত ইমামের বড় ভাই জইন উদ্দিন দাবী করে বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাখা হয়েছে। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে আমরা হত্যা মামলা দায়ের করেছি। আজাদুর রহমান বলেন, ওসমানী হাসপাতালে নাজমুলের লাশ পাওয়া গেলেও তার চাচাদের পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন