বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আলোর মুখ দেখেনি সাত বছরেও

নীলাচল পানি সরবরাহ কেন্দ্র

মো. সাদাত উল্লাহ, বান্দরবান থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

বান্দরবান শহরের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে পানি সরবরাহ প্রকল্প সাত বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু এরপর তিন দফায় পাঁচ বছর সময় বাড়ানো হলেও কাজ শেষ হয়নি। সর্বশেষ কাজ শেষ করতে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যার কারণে ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার প্রকল্প এখন ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
বান্দরবান নীলাচল পর্যটন স্পটে বেড়াতে যাওয়া পর্যটক ও আশপাশের মানুষের পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ২০১৪ সনে এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী পানি সরবরাহের এই প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে এই পানি সরবরাহ কেন্দ্র থেকে মানুষ কোন প্রকার উপকৃত হয়নি। এতে করে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা পানিতে ভেসে যাওয়ার পথে। বর্তমানে প্রকল্পটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেসার্স রতন সেন তঞ্চগ্যা নামীয় লাইসেন্সে এই প্রকল্পের কাজ পেয়ে ছিলেন ঠিকাদার মাহাবুবুর রহমান। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকা তৎকালীন বিতর্কিত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহারাব হোসেন ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের সদর উপজেলা কর্মকর্তা মনজেল হোসেনের খামখেয়ালীপনার কারণে প্রকল্পের কাজ চলছে কচ্ছপগতিতে।
কাজের ধীরগতি নিয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মাহাবুবুর রহমান জানান, নীলাচলের নিচের ঝিরিতে বাঁধ নির্মাণ করে পানি পরিশোধানাগার এবং সংরক্ষণ করে পানি সরবরাহ করার উদ্যোগ ছিল জনস্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু যে বরাদ্দ ছিল তা দিয়ে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত কাজ বন্ধ আছে। নতুনভাবে বরাদ্দ পেলে পুনরায় কাজ শুরু হবে। এদিকে নীলাচল এলাকার বাসিন্দা কল্পনা তঞ্চঙ্গ্যা জানান, প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল দেখেছি। কিন্তু ওই ট্যাঙ্কি থেকে একবারও পানি খেতে পারিনি। কাজ শেষ হয়েছে কিনা তাও জানা নেই তার।
বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদ আলম প্রধান জানান, প্রকল্পটির জন্য ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে ছিলাম। বিপরীতে পেয়েছি ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বাকী টাকা বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শেষ করা যাবে।
বান্দরবান সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী মনজেল হোসেন জানান, প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় কাজ এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। প্রকল্পে এখনো পানির পাম্প মেশিন, ইলেক্ট্রনিক্স কাজ, পাইপ লাইনসহ কিছু কাজ বাকী আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন