শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জয়পুরহাটের আলু যাচ্ছে বিদেশে

জয়পরহাট জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

জয়পুরহাটের আলু অত্যন্ত উন্নত মানের হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করার পাশাপাশি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে বিশেষ করে মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল রাশিয়া ও দুবাইয়ে আলু রফতানি করা হচ্ছে।
জয়পুরহাট জেলায় সম্প্রতি আলু উত্তোলন শেষ হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বের দশটি দেশে জয়পুরহাটের আলু রফতানি করা হচ্ছে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আলুর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আলু রফতানিকারক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সূচি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সুজাউল ইসলাম সুজা বলেন, গত ৯ বছর যাবত আমি বহির্বিশ্বের ৮টি দেশে আলু রফতানি করে আসছি। আলু রফতানি করতে প্রথমে আমি জমি নির্বাচন করি, পরে সেই জমিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আলু রোগ বালাই মুক্ত করে ফলন নিশ্চিত করার পর আলু পরিপক্ক হলে তা তোলা হয়। এক পর্যায়ে বাছাইয়ের পর গ্রেটিং করে ৫কেজি, ১০ কেজি, ২০ কেজি প্যাকেট করে রফতানির জন্য প্রস্তুত করে প্রক্রিয়াজাতের কাজ শেষ হলে তা ঢাকায় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয় সেখান থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে রফতানি করা হয়। এই কাজে কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র পেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ফলে অনেকেই অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বিদেশে আলু রফতানি করছে। তিনি বলেন আমার কোম্পানিতে বর্তমানে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৪১৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮৫০০ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট। ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল , রোজেটা ও দেশি জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকে। জেলার ১৫ টি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স ম মেফতাহুল বারি বলেন, জেলায় আলু চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং তদারকি ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেছে। বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেক পাইকারী ক্রেতারা জমি থেকেই আলু কিনে নিয়ে গেছে। এবার বাজারেও আলু প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। অপরদিকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের মাটিতেও চলে যাচ্ছে আমাদের আলু, তারা বাছাইকৃত প্রতি কেজি আলু কিনছে ৩০ টাকা দরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন