শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৫৪টি জেলা উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে

করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে চলতি মাসের ৬ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে দেশের ৫৪টি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর আগে ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ৩১টি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল বলে চিহ্নিত করেছিল। সংক্রমণের সংখ্যার দিক দিয়ে গত সপ্তাহে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলার সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে ১৭টি জেলায় শনাক্তের হার ৩১ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। এছাড়া ১৩টি জেলায় শনাক্তের হার ২১ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে। প্রায় ৪০ শতাংশ শনাক্তের হার নিয়ে দেশে শীর্ষ স্থানে আছে ঢাকা জেলা। খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও পঞ্চগড়ে শনাক্তের হার সবচেয়ে কম। এই জেলাগুলোতে শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশেরও কম।

আইইডিসিআর’র সা¤প্রতিক ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ থেকে দেশের করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির অবনতির এই চিত্র উঠে এসেছে।
একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করানো হয়। তাদের বাদ দেওয়া গেলে সংক্রমণের হার আরও বেশি হতো। আইইডিসিআর’র মতে, যে জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ১০ শতাংশ বা তারও বেশি, সেই জেলাগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকা জেলাগুলোকে মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ এবং পাঁচ শতাংশের নিচে থাকা জেলাগুলোকে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আইইডিসিআর’র তিনটি ক্যাটাগরির আওতায় ফেনী, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও পাবনা জেলাকে মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ৫৪টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলায় শনাক্তের হার ২১ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারিতে যেখানে গড়ে প্রতিদিনের সংক্রমণ হার তিন শতাংশের কাছাকাছি ছিল, গত মাসে তা বেড়ে পাঁচ শতাংশ অতিক্রম করেছে। এরপর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও শনাক্তের হার ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ভাঙছে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায়।

এই পরিস্থিতির লাগাম টানতে চলতি মাসের গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করে এই বিধিনিষেধ আরও কঠোর করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আইইডিসিআর’র পরিচালক প্রফেসর তাহমিনা শিরিন বলেন, যদি চলমান বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা আশাবাদী যে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা কতটা গুরুত্বের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি তার ওপর নির্ভর করবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি। সঠিক নিয়মে মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোনোভাবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার উপায় নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন