শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনায় মৃত্যু হলে ব্যাংকার পাবেন ৫০ লাখ টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময়েও সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। এ কারণে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যাংকে গিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকি বিবেচনায় এবং দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে পদভেদে ২৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারানো সব ব্যাংকারের পরিবারই এ ক্ষতিপূরণ পাবে।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবৃদ্ধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মা ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ প্রজ্ঞাপণের নির্দেশনা গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত যেসব ব্যাংকার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের পরিবার এ সার্কুলারের আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবে।

প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মারা গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা পাবেন। ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমানের পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পাবেন সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। স্টাফ ও সাব-স্টাফের (যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগ/নিয়োজিত) ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাবেন ২৫ লাখ টাকা।
কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনা ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সমন্বয় করা যাবে না। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমানে প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নীতিমালায় বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা/অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গত বছরের ১৫ এপ্রিল জারিকরা বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৮ এর ৩(গ) এবং ৪ ক্রমিকে বর্ণিত নির্দেশনার কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সবুজ ২০ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৩ এএম says : 0
ব্যাংক চলে জনগণের টাকা দিয়ে,আর গার্মেন্টস চলে নিজের টাকা দিয়ে,গার্মেন্টসের চেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বেতন ১০/১২ গুন বেশি,আর একজন গার্মেন্টস শ্রমিক পায় মাসে ৮/৯ হাজার টাকা,গার্মেন্টস শ্রমিক বা প্রাইভেট চাকরি যেমন হাউজ ড্রাইভার,দারোয়ান,পিউন,ঝাড়ুদারমালি,কাজের ভুয়ো এদের তো বেতন তেমন বেশি নয়,তো আসল কথা হলো ঐ সমস্ত ব্যাক্তিদের জন্য ব্যাংক কি চালু করেছে তা আমি জানতে চাই,গরিব দুঃখীরা কিছু টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাংকে একাউন্ট খুলে প্রতি মাসে বেতনের কিছু অংশ একাউন্টে রাখে,কিন্তু কয়জন ব্যাংকার কর্মকর্তা ব্যাংকে টাকা জমা রাখে? গরিবের টাকা খাওয়ার জন্য আপনাদের এতো লোভ কেনো?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন