নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নারী পাচারকারী চক্রের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে আসা এক যুবতীকে উদ্ধার এবং নারী পাচার চক্রের সাথে জড়িত আবুল কাশেম (৪০) ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে (৩০) আটক করে পূর্বধলা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকালে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের জারিয়া রেলস্টেশনে।
জারিয়া রেলস্টেশন মাস্টার মোঃ আব্দুল মোমেন জানান, সকালে একটি যুবতী মেয়ে দৌঁড়ে রেলস্টেশনে আশ্রয় নিলে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা তাকে ধরে টানা হেছ্ড়া শুরু করে। এ সময় যুবতী মেয়েটি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে আমিসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার এবং টানা হেছড়াকারী পুরুষ ও মহিলাকে আটক করে পূর্বধলা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছি।
পূর্বধলা থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, দূর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়াকান্দা গ্রামের মিরাশ আলীর পুত্র আবুল কাশেম দূর্গাপুর পৌরসভার চর মোক্তারপাড়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করে চর মোক্তারপাড়ায় বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতি আবুল কাশেম নারায়ণগঞ্জে বসবাসকারী রংপুর এলাকার এক যুবতী মেয়েকে এনজিওতে কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার চর মোক্তারপাড়ায় নিয়ে আসে। সেখানে যুবতী মেয়েটিকে মারধর করে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে জোর পূর্বক দেহ ব্যবসা শুরু করে। গতকাল শুক্রবার রাতে আবুল কাশেম মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে যুবতী মেয়েটিকে কয়েকজন যুবকের হাতে তুলে দেয়। যুবকরা তাকে রাতের অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ টর্চের আলো দেখে পুলিশ ভেবে যুবতী মেয়েটিকে পেলে রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এই সুযোগে যুবতী মেয়েটি নদীর পাড়ে একটি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। ভোরে মেয়েটি কোন রকমে পালিয়ে জারিয়া রেলস্টেশনে আশ্রয় নিলে পাচারকারী চক্রের সদস্য কাশেম ও তার স্ত্রী ফাতেমা জারিয়া রেলস্টেশনে মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে তাকে ধরে টানা হেছড়া শুরু করে। এ সময় মেয়েটি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার এবং নারী পাচারকারী কাশেম ও ফাতেমাকে আটক করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন