স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, “বর্তমান বিশে^ প্রায় ১০০ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায়না। আমাদের দেশেও কিছু মানুষ নানা কারণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে না। এর মধ্যে দেশে পুষ্টিকর খাদ্যে ভেজাল বা কেমিক্যাল মিশানোর ফলে অনেক মানুষ সাধ্য থাকলেও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করেনা। বর্তমানে প্রায় সব ধরণের ফল-মূলেই বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানো হচ্ছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে না পারলে কেমিক্যালযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে নিকট ভবিষ্যতে দেশের বহু মানুষ নানারকম জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হবেন। একারণে খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
আজ ২২ এপ্রিল সকালে অনলাইন জুম অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় জানান, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের মানুষকে নানা সংকটে ফেলেছে। অতিমাত্রায় বৃদ্ধির ফলে দেশে জরুরি লকডাউন চলছে। লকডাউন সংক্রান্ত সরকারের সকল নির্দেশনা সবাইকে যথাযথভাবে অনুসরন করতে হবে। একই সাথে দেশে কেন ও কিভাবে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এলো এবং এভাবে বৃদ্ধি পেলো সেটিও ভাবতে হবে। এখন দেশের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে না পারে সেদিকেও এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে।”
সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, এবারের পুষ্টি সপ্তাহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বজায় রাখতে হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের স্বাস্থ্যখাতের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। একারনে এই কোভিডকালীন সময়েও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ঊর্দ্ধমূখী রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাত সফল হবে বলেই সকলের বিশ^াস এসেছে।
উল্লেখ্য, এবারের পুষ্টি সপ্তাহ আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এ সময়েরর মধ্যে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭ দিন ব্যাপী ৭ ধরনের স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হবে। এ বছর জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে- “খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথা ভাবুন”।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম আবদুল আজিজসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা খাতের চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন