বগুড়ার নন্দীগ্রামে বর্ষণ গ্রামের বাজারে ছুরিকাঘাত ও মারপিটে ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। সে আরজেএফ নামের সংগঠনের উপজেলা সভাপতি।
মামলায় আবু সাঈদকে (৩৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বীজরুল পাকুয়াপাড়ার আবু বক্কারের ছেলে এবং আরজেএফ নামের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো দুটি চাকু উদ্ধারসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের বাজারে মোকসেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের দোকানে হামলা করে ছুরিকাঘাত ও মারপিটের অভিযোগে জুয়েল, সাঈদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম জুয়েল দাবি করে বলেন, হয়রানী করতেই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা রফিকুলকে মাদকসহ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত। রফিকুল, কামরুলরা আমার পরিবারকে দীর্ঘদিন গ্রামে ঢুকতে দেয়না। ঘটনার দিন আমি এবং পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আমাদের ওপর হামলা করে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় আমাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন