অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি ভোলার খাল দীর্ঘদিন ধরে নাব্যতা সঙ্কটে রয়েছে। স্থানীয় লঞ্চ ব্যবসায়ী এবং অন্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিংয়ের দাবি করে আসছে। অথচ ভোলাকে নদীবন্দর ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে বিআইডব্লিউটিএকে ভোলার খাল খননের সুপারিশ করেন।
বিআইডব্লিউটিএ গত বছর ৬ কিলোমিটার ড্রেজিং করার অনুমতি প্রদান করে। যা গত নভেম্বরে শুরু করে ৪ কিলোমিটার শেষ করা হয়। কিন্তু ২ কিলোমিটার শেষ করতে গিয়ে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়তে হয় বিআইডব্লিউটিএকে। ড্রেজিংয়ের ফলে নদী ভেঙে যাচ্ছে এমন ভুল বোঝায় তারা জেলা প্রশাসনকে। জেলা প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।
এরপরে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে দেখে ড্রেজিং অতি জরুরি। কিন্তু ড্রেজিংয়ের ফলে নদী ভেঙে যাচ্ছে না। গত সোমবার জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভোলা সদর উপজেলা প্রশাসনসহ কয়েকটি সংস্থা মিলে এক বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএকে ড্রেজিং করার অনুমতি প্রদান করেন। এরপরও কেন ড্রেজিং হচ্ছে না সেটাই এখন জনমনে প্রশ্ন।
এমভি কর্ণফুলী-১০ লঞ্চের ইনচার্জ শহিদ মাস্টার বলেন, কত কষ্ট করে এই খাল দিয়ে লঞ্চ চালাই তা আপনাদেরকে বোঝাতে পারবো না। একবার আটকিয়ে গেলে ১০-১২ দিন লাগে তা উদ্ধার করতে। এক সময় এ খাল দিয়ে আসতে লাগতো ৩০ মিনিট। নাব্যতার কারণে এখন ৩-৪ ঘণ্টা লাগে। তাতে যেমন লঞ্চের ক্ষতি, তেমনি সময় ও অর্থেরও ক্ষতি। আমরা চাই অতি দ্রুত ভোলার খাল ড্রেজিং করে লঞ্চ চলাচলের উপযোগী করা হোক। বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ভোলা খেয়াঘাট থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ কিলোমিটার ড্রেজিং শেষ হয়েছে। ড্রেজিংয়ের ফলে নদী ভেঙে যায় এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসন কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলো। গত সোমবার কাজ করার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। খুব শিগগিরই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করবো।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিআইডবিøউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আমরা সকল টেকনিক্যাল বিষয় দেখে তাদেরকে ড্রেজিং করার অনুমতি দেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন