যশোরে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তথ্য যশোর বিমান বন্দরের আবহাওয়া দপ্তরের। যশোরের বাতাসে আগুনের হল্কা। সবার মধ্যেই এখন ধ্বনিত হচ্ছে ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে’। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম।
সবখানেই ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। গ্রীষ্মের অস্বাভাবিক শুষ্কতা ও প্রখর খরতাপে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমখি হচ্ছে কৃষি, শিল্প, মৎস্য, বনজ ও পরিবেশ। মানুষ রীতিমতো হাপাচ্ছে। প্রচন্ড দাবদাহে ছটফট করছে প্রাণীকুল।
আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, নদ-নদী, খাল-বিল প্রায় পানিশূন্য এবং গাছপালা কমে যাওয়ায় ভূপৃষ্ট থেকে তাপমাত্রা উপরে উঠার সময় বাষ্প বা পানিকণা নিতে পারছে না। আকাশে মেঘ ও বৃষ্টির জন্য যে বায়ু দরকার তা পাচ্ছে না।
লকডাউনে এমনিতেই লোকজনের চলাচল কম রাস্ততাঘাটে। তাপদাহে ভর দুপুরে রাস্তা ঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে মানুষ নি®কৃতি পাবার কোন ব্যবস্থা নেই। রোগ বাড়ছে শিশুদের।
খরতাপে কর্মজীবীদের অনেকেই মাঠেঘাটে কাজ করতে নামতে পারছেন না। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই অসহনীয় গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
সবজি উৎপাদনের রেকর্ডসৃষ্টির যশোরে চাষিদের মাঠের কর্মকান্ড করতে পারছেন না ঠিকমতো। চাষিরাা জানান, সবজি রক্ষায় অতিরিক্ত পরিচর্যা করতে হচ্ছে। খরচও বেড়ে গেছে। ফুল উৎপাদনের শীর্ষ রেকর্ড স্থাপনের যশোরের ফল চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, ফুল নেতিয়ে পড়ছে। মান খারাপ হচ্ছে। বিশেষ করে গ্লাডিওলাস, জারবেরা রক্ষা করা কঠিন হচ্ছে। সাদা সোনা চিংড়ি ও মাছের রেণু পোনা উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন