বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চকরিয়া ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে থাকবে দুই তিমির কঙ্কাল

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

স¤প্রতি কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা তিমি দু’টির কঙ্কাল চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গেছে। প্রাণীবিদ্যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজ চালাতে ও পর্যবেক্ষণে এগুলো পার্কটির মিউজিয়াম কক্ষে সংরক্ষিত থাকবে বলে জানান সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম বলেন, তিমির কঙ্কাল পার্কে প্রদান করলে দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির কঙ্কাল ও শারীরিক কাঠামো পার্ক মিউজিয়ামে রয়েছে। এগুলো দর্শনার্থী ছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের প্রাণি বিদ্যার শিক্ষার্থীদের উপকারে আসছে।
গত ৯ ও ১০ এপ্রিল মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সমুদ্র সৈকতে পাওয়া যায় দুটি তিমির মৃতদেহ। এ দুটি প্রাণি ছিল ব্রাইডস হুয়েল অথবা বলিন প্রজাতির। এদের ওজন ছিল ১০ ও ১২ টন। লম্বায় ৪২ ও ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে ছিল ২৪ ও ২৫ ফুট। তিমি দুটির বয়স আনুমানিক ১৫-২০ বছর বলে মৎস্য ও প্রাডুসম্পদ বিভাগের ধারণা।
কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান তিমির কঙ্কাল দুটি ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সংরক্ষণের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, মাংসপেশি আলাদা হয়ে গেলে ৩-৬ মাসের মধ্যে সাগরে ভেসে আসা দুই তিমির কঙ্কাল মাটি থেকে উত্তোলন করা হবে। তখন এগুলো ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সংরক্ষণ করা হবে। এর আগে উপক‚লে ভেসে আসার পর দুই তিমিরই শরীর পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল। এ কারণে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর প্রাণি দুটি বালিয়াড়িতেই মাটি চাপা দেয়া হয়। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান আরো জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে সৈকতে ভেসে আসা তিমি দুটিই পুরুষ ছিল। এরা আত্মহত্যা করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একটি মৃত তিমির জন্য অপর তিমি আত্মহত্যা করতে গেলে সেটি অর্ধমৃত অবস্থায় সমুদ্রে শনাক্ত করা যেত। উপক‚ল কিংবা জাহাজ থেকে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন