সিলেটে সীমান্ত এলাকার চোরাই পশু হাটের অন্যতম সদস্য ‘বোঙারী’ সুলতান গ্রেপ্তার হয়েছে চুরির মামলায়। কানাইঘাট থানা পুলিশ শনিবার রাতে সীমান্তবর্তী মোলাগুল বাজারে ধাওয়া করে আটক করে তাকে। এদিকে, সুলতান আটকের পর কানাইঘাটের সড়কের বাজার প্রকাশিত বোঙারী বাজারের পশু চোরাচালানি সিন্ডিকেটের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে বোঙ্গারী সুলতান সহযোগিদের।
সূত্র জানায়, সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলারের অন্যতম একটি বাজার ‘সড়কের বাজার’। কিন্তু সীমান্ত পথে চোরাই পশু এনে বিক্রির নিরাপদ হাট হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করায় এ হাটকে সিলেটে ‘বোঙারীবাজার’ হিসেবে চিনেন জানেন সবাই। এই বাজারে মূলত ভারত থেকে চোরাচালানে আসা গরু ও মহিষ করা হয় বিক্রি। সম্প্রতি এ হাট আলোচনায় আসে জকিগঞ্জের সোনাসারের ব্যবসায়ী মাসুম আহমদের মহিষ চুরির ঘটনার মধ্যে দিয়ে। মাসুমও ব্যবসা করেন সীমান্ত এলাকায়। কানাইঘাট থানায় সীমান্তের চোরাচালানি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন মাসুম। ওই চুরির মামলা দায়েরের পর তোলপাড় শুরু হয় ‘বোঙারী বাজার’ সিন্ডিকেটে। স্থানীয় মুলাগুল বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মহিষ চুরির ঘটনায় মামলা ও চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তবর্তী মুলাগুল বাজারে সৃষ্টি হয় তোলপাড়। চুরির মামলার আসামিদের খুঁজে আগে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালায়। সর্বশেষ গত শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কানাইঘাট থানার একদল পুলিশ সাদা পোশাকে অভিযান চালায়। এ সময় সুলতান ও তার আরেক সহযোগী হবিব বাজারেই ছিলো।
পুলিশ সুলতান ও হবিবকে আটক করলেও পুলিশের হাত থেকে ফসকে বেরিয়ে যায় হবিব। স্থানীয় সড়কের বাজারে আধিপত্য রয়েছে তাদের। মাসুমের মালিকাধীন মহিষগুলো তারা ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলতে এ চুরির নাটক করেছিল তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার এসআই পীযূষ চন্দ্র সিংহ বলেন, মোলাগুল বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চুরির মামলার প্রধান আসামি বোঙারী সুলতানকে। গতকাল (রোববার) আদালতে পাঠানো হয়েছে তাকে। একই সঙ্গে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়েছে। এদিকে, মামলার বাদি মাসুম জানান, সুলতানের সঙ্গে মহিষ চুরির মুসলিম, আবুল হাসান এই মহিষ চুরির ঘটনায় শেল্টার দিচ্ছে বোঙারী সুলতানকে। মুসলিমের এক ভাতিজা ফয়ছলও এতে জড়িত। তিনি বলেন সড়কের বাজারের চোরাই সিন্ডিকেটের ওই সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে পুলিশ। এদিকে, মামলার) বাদীর (মাসুম) বক্তব্যের সাথে ভিন্নমন পোষন করে আবুল হাসান, মুসলিম সহ বোঙারী বাজারের সিন্ডিকেটের সদস্যরা বলেছেন, মহিষ চুরির নায়ক কেবল বোঙারী সুলতান। কারন সড়কের বাজারে সুলতানের কাছ থেকে ওই মহিষগুলো কিনেছেন তারা বৈধভাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন