দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রাজধানীতে যাওয়ার ভিড় বাড়তে থাকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে। গত শনিবার ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। মূলত গতকাল মার্কেট খোলার খবরে শনিবার সকাল থেকেই হাজার হাজার যাত্রীদের ঢাকামুখী ভিড় ছিল বাংলাবাজার ঘাট এলাকায়। গতকাল সকাল থেকেও ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল এ নৌরুটে সীমিত আকারে ৭টি ফেরি চলাচল করেছে। তবে ঘাটে ছোট গাড়ির সংখ্যা তেমন নেই। টার্মিনালে পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে ১৫-২০টি। ঘাট এলাকায় গাড়ির চাপ না থাকলেও যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ ছিল।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরি ঘাট সূত্র জানিয়েছে, নৌরুটে মূলত ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে। তবে পরিবহন নেই। শিমুলিয়া থেকে গত কয়েকদিন ধরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পণ্যবাহী পরিবহন পার হয়নি। ছোট ছোট গাড়ি সীমিত আকারে পার হয়েছে। গাড়ি কম থাকায় বড় ফেরিগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ছোট ফেরি দিয়ে জরুরি গাড়ি পার করা হচ্ছে। তবে বাংলাবাজার থেকে যাত্রী ও ছোট গাড়ি পার হয়ে শিমুলিয়া আসছে।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সকাল থেকেও ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ ছিল। তবে গাড়ির সংখ্যা কম। ফেরিতে যাত্রীদের বেশির ভাগই পার হচ্ছে। নৌরুটে ১৬টি ফেরি থাকলেও ৭টি ছোট ফেরি চলাচল করছে। ৮৬টি লঞ্চ ও ২ শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে, যা লকডাউনের কারণে বন্ধ আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটের একটি সূত্র জানায়, স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল কিছু কিছু স্পিডবোট চালু রেখেছে। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের পার করছে। মো. হামিদ মিয়া নামের ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। গতকাল মার্কেট খুলছে। তাই কাজে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, বাস বন্ধ থাকায় তিন-চারগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘাটে গাড়ির তেমন চাপ নেই। কিছু ট্রাক আছে। এছাড়া ছোট গাড়ি কম। ৭টি ফেরি চালু আছে। এছাড়া ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ আছে ঘাটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন