বিশাল জমিনে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেওয়া বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে হয়ে গেল ধান কাটার উৎসব। করোনার ২য় ঢেউয়ের কারণে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে সোমবার দুপুরে এই উৎসবে যোগ দিয়ে প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন , শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেশকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে আমেরিকা পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করেছে। অথচ এই আমেরিকায় এক সময় বলেছিল বাংলাদেশ একট তলা বিহীন ঝুড়ি।
তিনি বলেন , এখন চীন, তুরষ্ক,শ্রীলংকাও প্রশংসা করেছে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির। আর ভারতের প্রধাণমন্ত্রীতো নিজেই স্ব-শরীরে চলে এসেছেন।
এটাই সহ্য হয়নি বিএনপি জামাত হেফাজতের। তারা একত্রিত হয়ে কখনো বা আলাদাভাবে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের বহুমুখি চেষ্টা চালাচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন , মামুনুল হক যখন একেএকে সব ফাঁস করে দিচ্ছে তখন বাবু নগরী হেফাজতের কমিটি ভেঙে দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাঁকার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা তা’ পারবেনা। ইসলামের হেফাজতের কথা বলে যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মাদ্রাসাকে ব্যববহার করেছে ,কলংকিত করেছে তাদের আর মাদরাসায় ঢুঁকতে দেওয়া হবেনা।
উৎসবের উদ্বোধনী ঘোষনা দেন ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধ’ু জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামীলীগ কেন্দ্রী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম । উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি, জামাত, হেফাজত এই তিন অপশক্তি মিলে একটা পট পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে । আমরা তা সফল হতে দেবনা । জঙ্গীবাদী অপশক্তিকে ব্যবহারের যে কোন অপচেষ্টা আমরা রুখে দাঁড়াবো ।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন , আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল ও শস্য চিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ কেএসএম মুস্তাফিজুর রহমান । সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সে¦চ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু প্রমুখ ।
উল্লেখ্য বোরো মওশুমের শুরুতে নিভৃত পল্লী বালেন্দা গ্রামের একশ বিঘা জমি লীজ নিয়ে সেখানে সবুজ ও বেগুনী রঙের ধানের চারা রোপন করা হয় । ন্যাশনাল এগ্রি কেয়ার নামের একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান চীন থেকে বেগুনী রঙের ধানের হাইব্রীড বীজ এনে চারা তৈরী করে । ২৯ জানুয়ারী ১শ বিএনসিসি স্বেচ্ছাসেবী দিয়ে চারা রোপনের কাজ সম্পন্ন করা হয় ।
মধ্য ফ্রেবুয়ারীতেই একশ বিঘা জমির উপর ধানের চারায় ৪শ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩ শ মিটার প্রস্থ এলাকা জুড়ে ফুটে ওঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মদিনের আগের দিনে ১৬ মার্চ গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্স এ স্থান করে নেয় এই শিল্প কর্ম। ধান পেকে ওঠায় সোমবার তা’ কাটার দিন ধার্য করা হয় ।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও বক্তব্যের পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্যরা পাকা ধানের জমিতে নেমে পড়ে নিজ হাতে ধান কেটে উৎসবের সুচনা করেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন