পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মাকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে নলছিটি থেকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে চিকৎসা করানো যুবক জিয়াউল হাসান নিজেই করোনায় আক্রান্ত। শনিবার তার করোনা শনাক্তের রিপোর্টে পজেটিভ এসেছে। ঝালকাঠির নলছিটি শহরের সূর্যপাশা এলাকার নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারাইন্টানে আছেন কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান। তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানা গেছে।
মা নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রেহানা পারভিন শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু সে তার করোনা আক্রান্ত পুত্রের চিন্তায় কাতর। গতবছর জিয়াউল হাসানের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাকিম মোল্লা মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মা রেহানা পারভিন-এর তীব্র শ^াসকষ্ট দেখা দিলে গত ১৭ এপ্রিল জিয়াউল নিজের পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মাকে নিয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসার পর মা রেহানা পারভিন সুস্থ’ হলে শুক্রবার তাকে নিয়ে তিনি বাড়িতে ফেরেন জিয়াউল ও তার ছোট ভাই।
হোম কোয়ারাইন্টানে থাকা জিয়াউল হাসান শনিবার রাতে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, গত ১৭ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় দিন মায়ের সেবায় সে ও তার ছোট ভাই রফিকুল হাসান ইভান হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অবস্থান করেন। এতদিন করোনা ওয়ার্ডে অবস্থান করায় তার মনে সন্দেহ থেকেই দুজনই নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করান। অ্যান্টিজেন টেষ্টের রিপোর্টে ছোট ভাই ইভানের নেগেটিভ আসলেও জিয়াউলের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি জানান, এই মুহূর্তে শরীরিক দুর্বলতা ছাড়া তার অন্য কোনো উপসর্গ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন জিয়াউল। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন