মাছচাষীদের দুরবস্থা বিবেচনা করে নগদ প্রণোদনা, ঋণ পুনঃতফসিল ও সুদ মওকুফ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল। বুধবার (২৮ এপ্রিল) সংগঠনটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বলেন, প্রায় প্রতি টন মাছ উৎপাদনে খরচ পড়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থাৎ এক কেজি মাছ উৎপাদনে খরচ পড়ে ৯৫-৯৮ টাকা। আর মাছ বিক্রি করে প্রতি কেজিতে চাষীরা পাচ্ছেন ৭০-৮৫ টাকা। এই অবস্থায় মৎস্যচাষীরা কোথায় যাবে? মাছের দাম কমতে কমতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, লাখ লাখ মৎস্যচাষীরা আজ ঋণে ক্লান্ত, এমনকি বেঁচে থাকার আশাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে। মৎস্যচাষীদের দুরাবস্থা বিবেচনা করে তাদেরকে নগদ প্রণোদনা, ঋণ পুণঃতফসিল ও সুদ মওকুফ এর মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা সচল ও মাছ উৎপাদনে ধারাবাহিকতা রক্ষা জরুরি।
মৎস্যজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, ভুলে গেলে চলবে না এই মৎস্য থেকে আমাদের ৭০% আমিষের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে এবং মাছ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে জিডিপিতে প্রায় ৯ ভাগ অর্থ যুক্ত হয়। প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বিভিন্নভাবে মৎস্যখাতের সাথে যুক্ত আছে যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ। বৃহত্তর বেকার কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থ ও সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অনস্বীকার্য। ভাতে-মাছে বাঙালি খ্যাত বাংলাদেশে ভাতের পরেই মাছের স্থান এবং বৈদেশিক আয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সরকারকে অনতিবিলম্বে মৎস্যজীবীদের রক্ষায় সর্বাত্মক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন