রাজশাহী ব্যুরো : সবুজ শিক্ষা নগরী খ্যাত রাজশাহী এখন অনেকটাই ফাঁকা। নাড়ির টানে গ্রামে ফিরেছে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। রয়েছে চাকরিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষও। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অফিস আদালতও ছুটি হয়ে গেছে। যেসব শ্রমজীবী মানুষ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে অটোরিকশার হ্যান্ডেল কিংবা রিকশা-ভ্যানের প্যাডেলে পা রাখছেন তারাও পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ ঘরপানে পা বাড়িয়েছে। সেখানে অপেক্ষায় রয়েছে স্বজনরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরতদের মধ্যে নগরীতে ফেরা মানুষের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। তবে গ্রামগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। গ্রামইতো বাংলার প্রাণ। স্বাভাবিকভাবে এখন সেখানে প্রাণের উচ্ছ্বাসটা বেশি। নগরীর ছাত্রাবাস আর ফ্ল্যাট বাড়ির ভাড়াটেরা ফিরেছে গ্রামে থাকা স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে। খা খা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার সবুজ চত্বর। রাজশাহী কলেজও ফাঁকা। রুয়েটে বিরাজ করছে সুনশান অবস্থা। শিক্ষার্থী আর চাকরি ও শ্রমজীবীরা ফিরে যাওয়ায় যুবক-যুবতি তরুণ তরুণীদের কোলাহলমুখর নগরীতে প্রাণের উচ্ছ্বাসে কিছুটা ছন্দপতন ঘটালেও নগরীর বাসিন্দারা স্বজনদের কাছে পেয়ে কম উচ্ছ্বসিত নয়। পরিবারের লোকজনের সাথে দল বেঁধে হাটে যাওয়া। অনেক পশুর মধ্যে পছন্দের পশু কিনে ঘরে ফেরা। এরপর একটু বিশ্রাম নিয়ে চিরচেনা নিজ নিজ বলয়ের আড্ডস্থলে জম্পেশ আড্ডা জমানো চলছে অনেক রাত অবধি। কদিন আগে মরা পদ্মা ফুসে উঠলেও এখন কিছুটা ধার কমেছে। ভরা নদী দেখতে ভিড় করছে সেখানেও। চলছে নৌকায় ভেসে বেড়ানো। নাটোরের মিনি কক্সবাজার খ্যাত পাটুল ঘাটেও ভিড় মন্দ নয়। প্রতিদিন পদ্মার তীরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নানা বয়েসী মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকতো। শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ায় তাতেও কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। তবে ঈদের পরদিন থেকে ফের জমে উঠবে অন্যরকম আবহে। বরাবর ঈদের পরদিন থেকে কয়েকটাদিন শহরতলী ও গ্রাম থেকে ছুটে আসে মানুষ। ভিড় জমায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোয়। তাদের বরণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বিনোদন কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ভাদ্রের তালপাকা গরম দাপট দেখাচ্ছে। ছন্দপতন ঘটাচ্ছে ঈদ প্রস্তুতিতে। প্রচ- গরমের ফাঁকে কখনো কখনো একপশলা বৃষ্টি নামলেও তাতে খুব একটা স্বস্তি মিলছে না। গতকালও শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় সব বাজারে ছিল বেজায় ভিড়। সিটি হাট ছিল লোকে লোকারণ্য। ঈদের পরের দিন পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে ছক কষছে সিটি কর্পোরেশন। ঈদের পরের দিন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে কর্মসূচি। ভবনগুলো আলোক মালায় সজ্জিতকরণ, নগরীর মোড়ে মোড়ে ভ্রাম্যমাণ চলচিত্র প্রদর্শনী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন