গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার সীতারামপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আহত নুরুল হক সিকদার (৬০), দুলাল মোল্যা (৫০), ঠান্ডু মোল্যা (৪৫), হাসান মোল্যা (৪২), ইকরাম সিকদার (৪২), মাফিজুর ইসলাম (৪০), হাবু মোল্যা (৪০), পিল্টন সিকদারকে (৩৫) কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা জানিয়েছেন, সোমবার বিকালে ওই গ্রামের ইনামূল হক সিকদারের ছেলে সাজ্জাদ সিকদারের সাথে একই গ্রামে ইকরাম সিকদারের ছেলে তরিকুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনার জের ধরে দু’পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা, ঢাল, সড়কি, বল্লম, টেঁটা ও রামদাসহ দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় সীতারামপুর নতুন বাজার এলাকায় আব্দুল কাইয়ূম মোল্যা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কাশিয়ানী থানার ওসি একেএম আলী নূর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইউপি নির্বাচনে গোপালগঞ্জে বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের হরিদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসাইন (৭০), মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির (৬৫) ও হাজি মনিরকে (৫১), জালু মিয়া (৫৫)। তাদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের নাম জানা যায়নি। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাজাইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ ফরিদুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন