চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন মোল্লা। সাক্ষাৎকার শেষে জীবিত বাড়ি ফেরা হলো না শাহাদাতের।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবিতে নিহত ২৬ জনের মধ্যে তিনি একজন। তার বাড়ি মাদারীপুরেরর শিবচর উপজেলার নিয়ামতকান্দী গ্রামে। আদম আলী মোল্লা ও রিজিয়া বেগম দম্পতির ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন শাহাদাত। তিনি এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন। শাহাদাত হোসেন মোল্লার চাচাতো ভাই সাবেক মেম্বার দাদন মোল্লা (৬০) বলেন, এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন শাহাদাত। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ঢাকা যান। ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। চাকরি করা হলো না শাহাদাতের। লাশ হয়ে তাকে ফিরতে হলো। আমরা কী বলে সান্ত্বনা দেব ওর পরিবারকে?
কান্না করতে করতে তিনি বলেন, 'আদরের ছোট ভাই শাহাদাত। লকডাউনের ভেতর ঢাকা যেতে না বলেছিলাম। তবুও গেছে। ভাই, তোকে হারালাম ভাই।'
উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় ৩২ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। এসময় মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল বলেন, শাহাদাতের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এভাবে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ চলে গেল, কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। স্পিডবোট চালকদের আরো প্রশিক্ষণ ও সতর্কতা মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি নজরদারির আহ্বান জানাই। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন