শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভুক্তভোগীর পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে

সিরাজদিখানে ভাই হত্যার বিচার দাবি

মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভাই হত্যার বিচার চাওয়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রেনু বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। মামলার আসামিরা জেলে থাকলেও তাদের সহযোগীরা ইতোমধ্যে রেনু বেগমের ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে দিয়েছে। লুটপাট করে নিয়ে গেছে টাকা ও মূল্যবান সম্পদ। জীবন নিয়ে কোনমতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।

মামলার এজাহারে রেনু বেগম উল্লেখ করেন, তিনি এবং তার ভাই মিলন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের চর পানিয়া গ্রামে তাদের ভগ্নিপতি হাজি মো. বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। সিরাজদিখানের চাঁন্দের চরের মৃত সিরাজ মেম্বারের ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী কামিজ উদ্দিন কামু, ফারুক হোসেন ও আবুল হোসেন এবং তাদের সহযোগীদের সাথে বিল্লাল হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। এই বিরোধের জের ধরে কামু ও ফারুকের লোকজন গত ৯ মার্চ হাজি বিল্লাল ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় বিল্লালের বড় ভাবি অজুফা বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো।
মামলা তুলে না নেয়ায় গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে ওই বাড়িতে হামলা চালায় কামু এবং ফারুক ও তাদের সহযোগীরা। তাদের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন মিলন। দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। তার ঘরের চারিদিকে আগুন লাগিয়ে দেয়। মিলনের চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় কামু, ফারুক, রুপচান, আবুল হোসেনসহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন মিলনের বোন রেনু বেগম। মামলা দায়েরের পর আসামিরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের সহযোগীরা রেনু বেগমের বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে। একইসঙ্গে তারা রেনু বেগম ও হাজী বিল্লালের ঘরের মূল্যবান মালামাল ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়।
রেনু বেগম বলেন, আসামিরা জামিনের জন্য দৌড়ঝাপ করছে। তারা ক্ষমতাশালী অনেকের কাছে যাচ্ছে। তারা জামিনে মুক্ত হয়ে গেলে পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন বলে রেনুর আশঙ্কা। তিনি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন