জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা করতে গিয়ে যারা নিজেরাই আক্রান্ত হয়ে করোনা যোদ্ধা হিসেবে মৃত্যুবরণ করছে। জাতি তাদের কখনো ভুলবেনা। এই করোনা সমূখ যোদ্ধাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রণোদনা ঘোষনা দিয়েছিলেন তা পর্যায় ক্রমে প্রত্যেক সেক্টরে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আজ সকালে জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে দিনাজপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ কারী নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর রহিমা খাতুন ও নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর আমিনা খাতুনের পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৩৭.৫০ (সাঁইত্রিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণের মঞ্জুরি চেক হস্তান্তরকালে এ কথা বলেন।
নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর রহিমা খাতুন গত ০২ নভেম্বর ২০২০ ও নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর আমিনা খাতুন গত ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধিন এই দুই নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর, দিনাজপুর নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত (কোভিড-১৯) হয়ে মৃত্যুবরণ করায় তাদের স্বামীদের অনুকূলে এই ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করেন। এ ব্যয় চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের অর্থ বিভাগের বাজেটর অধীন করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্ষতিপূরণ বিশেষ অনুদান খাত থেকে নির্বাহ করা হবে। নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর রহিমা খাতুনের স্বামী শাহাদাত হুসেন ও নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর আমিনা খাতুনের স্বামী জাহাংগীর আলম, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের নিকট থেকে চেক গ্রহণকালে আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন