সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কাটাবাড়ি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী উপর ৫০ বছরেও তৈরি হয়নি একটি ব্রিজ। একটি ব্রিজের অভাবে কাটাবাড়ি গ্রামের পুর্ব ও পশ্চিম পাড়ের গ্রামের হাজারো মানুষের ভাগ্য বদলায়নি যুগ যুগ ধরে। বর্ষাকালে স্রোতের টানে ডিঙি নৌকায় পার হয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে ওই গ্রামের মানুষের পায়ে হেটে নদী পার হয়ে যেতে হয় বিভিন্ন প্রান্তে।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কাটাবাড়ি গ্রামের মাঝদিয়ে বয়ে গেছে গোমানী নদী আর এই নদীই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে। এই নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় ৫০ বছরেরও বেশী সময় ধরে নিজ উদ্যোগে বর্ষাকালে ঝুঁকি নিয়ে নৌকাতে পারাপার হতে হয় স্থানীয়দের। এছাড়াও কোন মহিলার প্রসব বেদনা অথবা মূমুর্ষ রোগী হাসপাতালে নিতে হলে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়. পোহাতে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। আর এই সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের একদম নিরুপায় হয়ে। বর্ষা কলে যা ভয়াবহ রুপধারন করে স্থানীয় জনজীবনে, চারিদিকে ভরা পানি, তাদের আর্তনাদের চিৎকার যেন পানির সাথেই মিশে যায়। স্থানীয়রা ব্রিজ নির্মানের দাবী জানিয়ে বলেন, এখানে একটি ব্রিজ নির্মিত হলে একদিকে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাচঁ শতাধিক শিক্ষার্থী নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে পারবে অপরদিকে গ্রামের মানুষসহ আশেপাশের ১০টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা, হাটবাজার, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও গ্রামীণ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। তারা ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়েছে, ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে বেশ কয়েকবার উন্নয়ন হয়েছে আশেপাশের আনেক রাস্তাঘাট, জনপ্রতিনিধিরা যারাই এখানে এসেছেন দুর্ভোগের কথা শুনেছেন মিলেছে আশ্বাস। আর এই আশ্বাস নিয়েই কাটছে যুগের পর যুগ অমানবিক দুর্দশার জীবন যাত্রা আমাদের এগিয়ে আসেনি কেউ।
তাড়াশ উপজেলা এলজিইিডির সহকারী প্রকৌশলী মো: আনোয়ার হোসেন জানান, রাস্তা পাকাকরণের জন্য ও একটা ব্রিজের বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, কাটাবাড়ি গ্রামের রাস্তা পাকারকরণ ও নদীতে একটা ব্রিজ দরকার। এ বিষয়ে আমি মন্ত্রণালয়ে কথা বলছি যেন দ্রæততম সময়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন