করোনাভাইরাসে ইউমিনিটি বাড়াতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই বলেই মনে করেন বাংলাদেশ জিম মালিক সমিতির কর্মকর্তারা। সে জন্য জিম সেক্টরকে স্বাস্থ্যসেবামূলক খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতামুক্ত রাখাতে এবং লকডাউনের এই সময়ে সহজ শর্তে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ চান তারা। যাতে দেশের যুব সমাজ মাদক থেকে দূরে থাকে এবং বডিবিল্ডিং খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণ থেকে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে। বুধবার গুলশানস্থ বাংলাদেশ জিম মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে এমন দাবী জানান তারা। এ সময় জিম মালিক সমিতির আহ্বায়ক মো. ইলিয়াস মিয়া, সদস্য সোহরাব রিপন ও কামরুজ্জামান বিপ্লব, আশিকুর রহমান পলাশ, দিন ইসলাম চিনু, একে আজাদ, হারুন রশিদ রিয়ন, মাসুম রাব্বানী, মিজানুর রহমান মিজান, জাকির হোসেন, মাসুদ রানা, মিন্টু আকরাম ও আবদুল্লাহ আল রেজা উপস্থিত ছিলেন।
সমিতির আহ্বায়ক মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘সারা দেশে পাঁচ হাজার জিম বা শরীরচর্চা কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ২০ লাখের বেশি তরুন-তরুনী শরীরচর্চা করে থাকেন। কিন্তু দু:খের বিষয়, করোনাকালে যখন ইউমিনিটি বাড়ানোর প্রয়োজন, তখন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বন্ধ থাকা এইসব জিম। তাই ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবী জিম সেক্টরকে স্বাস্থ্যসেবামূলক খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতামুক্ত করতে হবে জিমগুলোকে। ব্যাংক, এনজিওএর মাধ্যমে সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋনদানের ব্যবস্থা করাসহ ফিটনেস সরঞ্জামাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে বিবেচনা করে ভ্যাট-ট্যাক্স হ্রাসপূর্বক সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। শুধু তাই নয়, জনস্বার্থে ব্যায়ামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করতে সরকারের তরফ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।’
সদস্য সোহরাব রিপন বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিবছর ৬০ ভাগ মানুষ মারা যায় শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাজনিত কারণে। অন্য এক পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা অন্যদের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ বছর বেশি সুস্থ্যতায় বাঁচেন। জন সাধারনকে ব্যায়ামের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারলে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ব্যয় বহুলাংশে হ্রাস পাবে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়বে। জনসংখ্যা শক্তিশালী জনসম্পদে রুপান্তর হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন