বিয়ের ২৪ বছর পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার যৌতুকলোভী স্বামী ও তার লোকজনের মারধর থেকে বাঁচলেন এক গৃহবধূ ও তার ভাইবোন। গত রোববার ফতুল্লার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় রসুল শেখের বাড়িতে এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন আহত গৃহবধূ আইরিন শেখ। মামলায় তার স্বামী রসুল শেখ (৫২) ও তার দেবর আলী শেখ কালা (৪৮) ও অপু আহম্মেদ জয়সহ (৩৫) আরোও একজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়- ফতুল্লার পাগলা নিশ্চিন্তপুর এলাকার মৃত তরব আলী শেখের ছেলে রসুল শেখ ২৪ বছর পূর্বে একই এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে আইরিন শেখকে (৪৪) বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের রায়হান শেখ (২০) নামে এক ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। রসুল শেখ বিয়ের পর থেকেই ৬ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে আসছেন। আর এ যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এতে একাধিকবার স্থানীয় ও পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়েছে।
গত রোববার সকালে ওই যৌতুকের দাবিকে কেন্দ্র করে আইরিনকে রসুল শেখ ও তার ছোটভাই এলোপাতাড়ি মারধর করে গলায় শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে আইরিনের ডান পায়ের হাড় ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে এদিন বিকালে আইরিনকে দেখতে তার বড়ভাই রেজাউল ইসলাম (৫২), রিয়াজুল ইসলাম (৪৬), জিয়াউল ইসলাম (৩৬), বড়বোন আফসারী খানম (৫৫) দেখার জন্য ভগ্নিপতির বাড়ি আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রসুল শেখ ও তার ছোটভাইসহ কয়েকজন আইরিনের বড় ভাইবোনের ওপর হামলা চালান। তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে বড়বোনকে শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন প্রত্যক্ষদর্শী একজন। ফোন পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গিয়ে আইরিন ও তার ভাইবোনদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন