শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বোরো ধান-চাল সংগ্রহ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

চলতি বছর বোরো মৌসুমে মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুর হয়েছে। গতকাল শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যামে যুক্ত হয়ে সারাদেশে বোরো চাল সংগ্রহ-২০২১-এর উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এবার বোরোতে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ ও ৩৯ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, গত ২৮ এপ্রিল থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৬টি বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং মিল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইনে সভা করেছি। সেখানে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে চলমান বোরো সংগ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন মাসে কী পরিমাণ সংগ্রহ করা হবে তার একটা পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তির জন্য নীতিমালা অনুযায়ী বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে পাঠানো করা হয়েছে। আজ রোববার চুক্তির শেষদিন। কোনোভাবেই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে না। তিনি বলেন, সংগ্রহ অভিযানে কৃষকরা সরাসরি গুদামে গিয়ে ধান বিক্রি করছে। চাল সরবরাহের জন্য মিলাররা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
গুদামে ধান দেয়ার সময় কৃষককে যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি। একই সঙ্গে কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার। চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করার আহবান জানান। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি, তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যও আমাদেরকে এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে। চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই এবং কোনোভাবেই পুরনো চাল দেয়া যাবে না। এবারের বোরো ধানের চাল দিতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সঠিকভাবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান-চাল সংগ্রহের মাধ্যমে মজুদ ত্বরান্বিত করার নির্দেশনা দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন, বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মিল মালিক প্রতিনিধিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন