বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নিয়োগে জড়িতদের শাস্তির দাবি রাবি প্রগতিশীল শিক্ষকদের

রাবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৭ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের প্রক্রিয়াকে অবৈধ উল্লেখ করে নিয়োগ বাতিল করে এর সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় (রাবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের শিক্ষকরা।

গতকাল শনিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের স্টিয়ারিং কমিটির ১৬ সদস্য স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান শিক্ষকরা। বিবৃতিতে বলা হয়, বিধিবহিভর্‚ত ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, ও কর্মচারী এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এ ঘটনার দায় বিদায়ী ভিসি ও তার সহায়তাকারীদেরই নিতে হবে বলে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যরা মনে করেন।
তারা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধী নই। কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধিমোতাবেক হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চাহিদা ব্যতিরেকে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা কোনো লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের পক্ষে আমরা নই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বায়ত্তশাসনের নামে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থনৈতিকভাবে উপাচার্যের লাভবান বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লজ্জিত করেছে।
এসব শিক্ষকদের দাবি অতীতে তারা বহুবার উপাচার্যের ক্ষমতার অপব্যবহার , দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিষয়েও গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন এবং দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করে তার অপসারণ দাবি করেছেন। দাবি মেনে তাকে তখনই অপসারণ করা গেলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো বলে মনে করেন তারা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা অনেকদিন আগে থেকেই দেয়া ছিল। এরপরেও মেয়াদের শেষ দিনে এসে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দুর্নীতির মাধ্যমে এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে নি বরং দেশ ও জাতির সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে ক্ষুন্ন করেছে। আমরা অবৈধ এই নিয়োগ বাতিল দাবি করছি এবং ক্যাম্পাসে অরাজক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও সদ্য সাবেক ভিসিসহ অবৈধ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ও প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অধ্যাপক তরিকুল হাসান, অধ্যাপক প্রদীপ কুমার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহানুর রহমান, অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন সহ ১৬ জন শিক্ষক। তবে শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানসহ ৪ জন সদস্য ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন