তেলের প্লাস্টিকের কৌটার ওপর লাগানো স্টিকার ছিল বেশ রঙচঙে। কৌটার ওই স্টিকার দেখে মনে হবে এটি স্বনামধন্য ব্র্যান্ড ‘রূপচাঁদা’ সয়াবিন তেল। স্টিকারে আছে বিএসটিআই’র লোগো। ভিটামিন ‘এ’ আছে সেই কথাও লেখা আছে। তবে আসল নয়, পুরোটাই ভেজাল তেল (পামওয়েল)। আসলের আদলে ‘রুপচান’ ও ‘রুপায়ন’ নামে ব্যবহার করা হয় ভেজাল ভোজ্য সয়াবিন তেল। তবে কোনো মিল বা কারখানায় নয়, একটি ঘরে বসে। এমনই এক ভেজাল সয়াবিন তেল তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিসিক শিল্প এলাকার একটি কারখানায়।
রবিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভেজাল সয়াবিন কারখানাটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) আল-আমিন সরকার। এ সময় অভিযানে অংশ নেন কুমিল্লা বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার শাহীদুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই ইয়াছিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিএসটিআইর কোনো প্রকার অনুমোদন বা লাইসেন্স ছাড়াই তৈরি করা এসব ভেজাল সয়াবিন তেল তৈরির প্লাস্টিক কৌটা, স্টিকার ও মেশিনসহ নানা সামগ্রী জব্দ করেন। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্তাদের দেখে ওই কারখানার মালিক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারখানারটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। কারখানার অফিস থেকে পাওয়া একটি ভিজিটিং কার্ডে ওই কারখানাটি ‘গ্রামীণ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিস’ নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, এটা নিঃসন্দেহে প্রতারণা। পামওয়েল সয়াবিন বলে বিক্রি করা হচ্ছে। বিএসটিআইর লাইসেন্স ছাড়াই লোগো ব্যবহার, পানি ফিল্টারের মেশিনে তেল পরিশোধন করা, ভিটামিন এ’ সমৃদ্ধ না করেও কৌটার ওপর লাগানো স্টিকারে লেখে রাখা আইনের লঙ্ঘন।
উপজেলা সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) আল-আমিন সরকার জানান,এই প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল তেল নামি দামি ব্যান্ডের লগু ব্যবহার করে বাজারজাত করছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন