বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

রিজার্ভ চুরি নিরাপত্তায় বৈশ্বিক মান চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো

প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি বছর বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির পর সাইবার হামলা থেকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক রক্ষায় বৃহত্তর বিধিমালা তৈরির বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স চালু করেছে বিশ্বের শীর্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রে বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সবেমাত্র কাজ শুরু হওয়ায় তারা নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছেন। তারা বলছেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলে অবস্থিত ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টসের (বিআইএস) অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কমিটি স¤প্রতি টাস্কফোর্সটি গঠন করে। প্রতারণার মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোর প্রস্তুতির বিষয়ে এর মধ্যে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে টাস্কফোর্স। শেষ পর্যন্ত এই টাস্কফোর্স সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন মান নির্ধারণ করতে পারেন, যা বিশ্বজুড়ে গৃহীত হবে। নতুন নীতিমালা বা নির্দেশনায় অর্থ লেনদেনকারী ব্যাংক ও আন্তঃব্যাংকিং লেনেদেনের মাধ্যম সুইফটের মতো নেটওয়ার্কগুলোর দায়িত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
এছাড়া হ্যাকারদের হাত থেকে সিস্টেম রক্ষায় কোনো ব্যাংকের ঘাটতি তৈরি হলে কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী নীতি অনুসরণ করবে, দেশীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা কি ভ‚মিকা পালন করতে পারে এবং আবারও একই ধরনের চুরির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া কি হবে তার নির্ধারণে সুপারিশ করবে এই টাস্কফোর্স। এই উদ্যোগে প্রধান ভ‚মিকা রাখা দ্য কমিটি অন পেমেন্ট অ্যান্ড মার্কেট ইনফ্রা স্ট্রাকচার (সিপিএমআই) এ বিষয়ে কথা বলে রাজি হয়নি।
হ্যাকারদের যোগসূত্র খুঁজছে সিআইডি
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের গাফিলতির প্রমাণ পেলেও জড়িত বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যোগসূত্র এখনও খুঁজে পায়নি সিআইডি। এ কারণে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রেও ফৌজদারি মামলা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি। ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, পুরো অর্থ উদ্ধারে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইন সফর করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চার বিভাগের অন্তত ১৩ জন কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা-সিআইডি। এ ঘটনায় ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, চীন, সিঙ্গাপুর ও জাপানের ২৫ নাগরিককে চিহ্নিত করেছে গোয়েন্দারা।
জড়িতদের যোগসূত্র এখনও খুঁজে পায়নি সিআইডি। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও তিন মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। অপরাধীদের ধরতে ফৌজদারি মামলা করতে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কাসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাগিদ দিচ্ছে সিআইডি। পাচার হওয়া পুরো অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইন যাচ্ছেন আইনমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী, অ্যাটর্নী জেনারেল ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন