কবির হোসেন,কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : পবিত্র ঈদের ছুটিতে কাপ্তাইয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ পিয়াসুদের উপচেপড়া ভিড়। কাপ্তাই পাহাড়,লেক,সবুজবন আর অপরুপ সৌন্দর্য একনজরে দেখার জন্য দূর,দূরান্ত হতে হাজার,হাজার ভ্রমণপিয়াসুরা শহর কিংবা দেশের বিভিন্ন জেলা হতে ইতিমধ্যে কাপ্তাই বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। একটু আরাম,সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের অন্যকোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয়না। কাপ্তাই পাহাড়,লেক,নদী,বনের দু’পাহাড়ের বুক চিড়ে কর্ণফুলী নদী বয়ে চলছে। দেখে মনে হয় অন্য একটি স্বর্গে বসবাস করছি। বনের ধারে চলতে চলতে দেখা মিলে,বানর,হরিণ,হাতিসহ বিভিন্ন অজানা সৌন্দর্য হরেক রকম পাখীর দেখা মিলে। দিনাজপুর হতে কাপ্তাইয়ে বেড়াতে আসা সিঙ্গাপুরের প্রবাসী নার্সিন সুলতানা,স্বামী কামরুজ্জামন বলেন,আমার দেশ যে এত সুন্দর তা কাপ্তাই না আসলে বুঝতে পারতাম না। ঢাকা থেকে আসা শাকিল চট্রগ্রাম থেকে রাশেল তারা অকপটে বলেন,কাপ্তাই এত সুন্দর তা এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না।
কাপ্তাইয়ের বিজিবি কর্তৃক ঝুঁম রেস্তোরা,নৌবাহিনী ,বনশ্রী,লেক প্যারাডাইসসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভ্রমণ পিয়াসুদের জন্য নানা রঙে সাজিয়ে রেখেছে। আর শহর,থেকে হাজার,হাজার লোকজন একটু স্বস্থিও নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য ভিড় করছে। অনেক দম্পতি বলেন,এ প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য দেখে মন চায় আরো দু’একটি দিন এখানে থেকে যাই। কিন্তু কাপ্তাই পর্যটন কেন্দ্র আছে থাকার কোন ভাল হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নেই। পাহাড় থেকে পাখী কিচির মিচির ডাক শুনে মন শান্ত হয়ে যায়। পাহাড়,নদী,লেক দেখে যেন আমাদের হাত ছানিয়ে দিয়ে ডাকছে। আয়,আয়। এদিকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর কর্তব্যরত লোকজন জানান, ঈদে বেড়াতে আসা পর্যটকরা ধারণার চেয়ে অনেক বেশী বেড়াতে আসছে। আমাদের ব্যবসা ভাল হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ভ্রমণ পিয়াসু কয়েক ঘন্টা থেকে আবার চলে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন