বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নেতৃত্বে ইউনিয়ন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর , অগ্নিসংযোগ ও লুটপটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও এক অন্তঃস্বত্তা নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কচুয়া উপজেলার ভান্ডারকোলা গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও ঘটনার জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
আহতরা হলেন, রাড়িপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৬৫), তার স্ত্রী রুমিচা বেগম (৫৮), অন্তস্বত্তা পুত্রবধু কাকলী বেগম (২৭) ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম (৪২)।
আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার সেখের ছেলে শামীম সেখ জানান, ‘সদ্য প্রয়ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু পুর্ব-শত্রুতার জের ধরে আমাদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে সোমবার আছরের নামাজ পড়া অবস্থায় আমার পিতা মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় আমার মা রুমিচা বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর পিতাকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। আমার পিতা-মাতা দুজনই রোজাদার অবস্থায় ছিলেন।
এরপর রাত আড়াইটার দিকে ৭০/ ৮০ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে মেহেদী হাসান বাবু গুলি করতে করতে আমাদের বাড়ি প্রবেশ করে। আমার বাড়িতে থাকা সবাইকে বেধরক মারপিট ও কোপাতে থাকে। এতে আমার পিতা, আমার স্ত্রী, আমার ফুফাতো ভাই আহত হয়েছে। হামলাকারিরা নারীদের উপর অত্যাচার করে এবং আমার বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও লুটপাট করে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, আজ ( মঙ্গলবার) রাতে তাদের পরিবারের সবাইকে হত্যা করে জেলে যাবে এটা বলে বেড়াচ্ছে। এতে তারা আতংকে রয়েছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
উল্লেখ, এর আগে গত ২২ এপ্রিল ভোররাতে সেহেরী খাওয়ার সময় মেহেদী হাসান বাবুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাঢ়ীপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এঘটনায় সন্তান ও জামাইয়ের জীবন বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রসীদের বেধড়ক পিটুনিতে দুই বৃদ্ধা নারীসহ ৩ জন আহত হয়। ঘটনার সময় জীবন বাঁচাতে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে হওয়ায় পুলিশের কাছ থেকে কোন প্রকার সহায়তা তারা পায়নি। অবশ্য ওই পরিবারটি পরবর্তিতে মামলাও দিতে পারেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন