শ্রীনগর উপজেলা বাঘড়া ইউনিয়নে এক গর্ভবতী নারীকে পেটে লাথি মেরে গর্ভের শিশু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ছত্রভোগ এলাকার জয়নাল মিঞার ছোট মেয়ে চার মাসের গর্ভবতী বৃষ্টি আক্তার (২০) কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার রিপন ফকির নামের এক স্থানীয় সন্ত্রাসী লাঠি দিয়ে আঘাত এবং পেটে লাথি মারলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, পরে আত্মীয় স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার পেটের সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ রিপন ফকির হচ্ছে নুরু ফকিরের ছেলে এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজলের সহযোগী। সে আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জয়নাল মিঞার বাড়িতে আক্রমণ করে বাড়ির ছোট বড় নারী পুরুষ সকলকে নির্বিচারে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এবং বৃষ্টিকে প্রথমে লাঠি দিয়ে আঘাত করে একপর্যায়ে পেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় । এবং সে চলে যাওয়ার সময় এই বলে হুমকি দেয় যে, যারা আমাকে থামাতে আসবে এবং জয়নালের পক্ষে কথা বলবে তাদেরকেও এভাবে মারবো।
ভুক্তভোগী বৃষ্টির মামা মিজানুর রহমান জানান রিপন বাহিনী সারা রাত আমার ভাগিনীর বাড়ি থেকে কাওকে বের হতে দেয় নাই, চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ায় আমার ভাগিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে এবং সে এখন ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান আসামী রিপন ফকির গ্রেপ্তার হয়েছে এবং আসামিকে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন