বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

স্বীকৃতি ও মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান খুবি ছাত্রীর

প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যশোর ব্যুরো : স্ত্রীর স্বীকৃতি ও মর্যাদার দাবিতে যশোরের মণিরামপুরে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মুসলিমা খাতুন। গত দু’দিন ধরে তিনি স্বামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাইসুল ইসলামের বাড়ি মণিরামপুরের চাকলা গ্রামে অবস্থান করছেন। মুসলিমা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোর্দ্দ গ্রামের ইয়ার আলীর মেয়ে এবং রাইসুল মণিরামপুরের চাকলা গ্রামের আইয়ুব বিশ্বাসের ছেলে। স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর এই অবস্থান নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চাকলা ও খোর্দ্দ গ্রাম দু’টি দুই জেলার হলেও পাশাপাশিই অবস্থান এবং দুই গ্রামের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এ কারণে রাইসুল ও মুসলিমা দুই জেলার বাসিন্দা হলেও তারা একই কলেজে লেখাপড়া করেছে। এরই সূত্র ধরে তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই মধ্যে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাইসুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মুসলিমা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
মুসলিমা দাবি করেন, ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি যশোরে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন। সে মোতাবেক তারা দু’জন প্রায় ৩ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাসও করেছেন। সম্প্রতি তাদের বিয়ের বিষয়টি রাইসুলের পিতা জানতে পারেন। কিন্তু মুসলিমার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় রাইসুলের পিতা আইয়ুব বিশ্বাস ছেলের বিয়ে মেনে না নিয়ে উল্টো ছেলে-বউকে ত্যাগ করতে ছেলের উপর চাপ প্রয়োগ করছেন।
মুসলিমা দাবি করেন, সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাইসুলের সাথে তার কথা হয়। ঈদে স্বামীর বাড়িতে আসতে চাইলে রাইসুল ফোন কেটে দেয়। এরপর থেকে রাইসুল তার স্ত্রী মুসলিমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মুসলিমা স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বামী রাইসুলের বাড়িতে অবস্থান নেন। এদিকে মুসলিমার আসার পর তাকে ওই বাড়িতে থেকে তাড়িয়ে দিতে প্রথমে মারপিট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পরে বিষয়টি চাউর হয়ে যাওয়ায় রাইসুল বাড়ি থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তার মা-বাবাও বাড়ি থেকে চলে গেছে।
এ ব্যাপরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মুসলিমাকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেয়া উচিত ওই পরিবারের। তবে এ ব্যাপারে রাইসুলের মা-বাবার সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও তার চাচা শাহাদৎ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য আলোচনা চলছে। স্থানীয় খোর্দ্দ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শেখ শোয়েব আলী বলেন, তারা দু’পক্ষকে এক জায়গায় বসে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছেন।
সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসলিমা জানান, তার পরিবারের সদস্যরা রাইসুলের বাড়িতে এসেছেন। দু’পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। রাইসুল ফিরলে তার স্ত্রীর স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন