শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাঁচ সদস্যের একই পরিবারের সবাই প্রতিবন্ধী। এদেরমধ্যে পরিবার প্রধান রফিকুল ইসলাম (৪৫) পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পেলেও বাকি চারজনের ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। রফিকুল ইসলাম উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলী মাঝাপাড়া গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রফিকুল জন্ম থেকেই বোবা। কোনো কথা বলতে পারেন না। তার স্ত্রী অজুফা বেগম (৩৭) কথা বলতে পারলেও কানে শোনেন না। ছেলে আক্কাস আলী (১৪), আশরাফুল (১০) ও মেয়ে রিমিও (৪) বোবা। রফিকুল ইসলাম একজন দিনমজুর। সহায়সম্বল বলতে বসতবাড়ির ৫ শতাংশ জমি আর একটি ঘর ছাড়া তার আর কিছুই নেই। রফিকুল ইসলাম কথা বলতে না পারলেও ইশারায় সবকিছুই বোঝেন। দিনমজুর করে চলে তার সংসার। প্রতিবেশীরা জানান, যখন হাতে কাজ না থাকে তখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয়রা জানান, রফিকুল ইসলাম পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পেলেও পরিবারের বাকি চারজনের ভাগ্যে আজো জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। বর্তমানে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি।
ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবার প্রধান রফিকুল ইসলামকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরকেও দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন