নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা ঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদের ই-সেবা কেন্দ্রের প্রশিক্ষক জয়নাব বানু (২৮) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সকালে উপজেলার বাবুরহাট রাজবাড়ী পাড়াস্থ তাঁর বাবার বাড়ীর একটি শোয়ার ঘরে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে ওই গ্রামের জামিয়ার রহমানের মেয়ে।
জয়নাব বানু ২০১০ সাল থেকে উপজেলা ই-সেন্টারের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বলে জানান ডিমলা উপজেলা নির্র্বাহী কর্র্মকর্তা রেজাউল করিম।
জয়নাব বানুর চাচা মো. নুরুজ্জামান বলেন, প্রায় দুই বছর আগে জয়নাব বানুর সাথে ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চাপানি গ্রামের ছাদেক হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বেসরকারী সংস্থা পপি’র এলাকা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।
বিয়ের সময় ১০ লাখ টাকা যৌতুক ঠিক হলেও জয়নাবের বাবা ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
বাকী ৪ লাখ টাকা দেয়া নেয়া নিয়ে স্বামী-শশুর ও শাশুড়ির সাথে জয়নাব বানুর মধ্যে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল।
গত রমজানের ঈদে জয়নাব তার শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করলেও এবার কোরবানীর ঈদে সে শ্বশুর বাড়িতে যায়নি। ঈদের দিন শ্বশুর বাড়ীর লোকজন এমনকি স্বামী মোস্তাফিজুরও জয়নাবের খোঁজ খবর নেননি।
শুক্রবার বিকেলে শ্বশুর ছাদেক আলী পুত্রবধূ জয়নাবের দেখা করতে আসলে শ্বশুরের সঙ্গে বচসার সৃষ্টি হয় জয়নাবের।
শনিবার সকালে বাবার বাড়ীস্থ শোয়ার ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে জয়নাব বানুর স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগযোগ করার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দেয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন